স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অনেকেই নিষিদ্ধ হয়েছেন অতীতে। হ্যান্সি ক্রোনিয়ে, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের পাশাপাশি হালে আমির-আসিফরাও পেয়েছেন বড় শাস্তি। বাংলাদেশের মোহাম্মদ আশরাফুলও ৫ বছরের শাস্তি কাটিয়ে আবার খেলায় ফিরেছেন। সাকিব অবশ্য ম্যাচ পাতানো অভিযোগে দুষ্ট নন, তিনি করেছেন তথ্য গোপন।
ফিক্সিং কেলেংকারি ক্রিকেটে নতুন নয়, এর আগেও অনেকবার ঘটেছে এই ধরণের ঘটনা। জুয়ারিদের সাথে যোগসাজশে ক্রিকেটকে কলুষিত করেছেন অনেক সাবেক ক্রিকেটাররা। আর জুয়ারিদের তথ্য গোপনেও অনেকে পেয়েছেন শাস্তি। আইসিসির দুর্নীতি দমন নীতিমালার ২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী, কোন ক্রিকেটার দুর্নীতিতে জড়ানোর তথ্য গোপন করলে সর্বনিম্ন ছয় মাস এবং সর্বোচ্চ ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন ক্রিকেটাররা।
১৯৯৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন, টিম মে ও মার্ক ওয়াহকে ঘুষ নেয়ার বিনিময়ে বাজে খেলার প্রস্তাব দিয়ে ২০০০ সালে দোষী সাব্যস্ত হন সেলিম মালিক। ফলে ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধ হন।
ভারতের আজহারউদ্দিনও আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ফিক্সিং কেলেংকারিতে। পরে আপিলের পর তিনি ছাড় পান।
জুয়াড়িদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার অভিযোগে ১৯৯৮ সালে ৫ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞায় পড়েন অজয় জাদেজা। দলের তথ্য জুয়ারিদের কাছে দেয়ার দোষে ২ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বহিস্কার হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ১০ বছরের জন্য।
পাকিস্তানের এই পেসারও জড়িত ছিলেন স্পট ফিক্সিংয়ে। নিষিদ্ধ হন ৭ বছরের জন্য স্পট ফিক্সিংয়ের ৫ বছরের শাস্তি কাটিয়ে আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন শুধু পেসার মোহাম্মদ আমির।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলও বিপিএল ম্যাচ পাতানোর ৫ বছরের শাস্তি কাটিয়ে গত বছর আবার খেলায় ফিরেছেন।
যদিও সাকিব ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত নন। তবে জুয়ারিদের তথ্য গোপনও কম অপরাধ নয় আইসিসির কাছে। অভিযোগ প্রমাণেই কম হলেও শাস্তি পাবেন সাকিব।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: