ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এই সময়ে শিশুদের পোশাক

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ১১ অক্টোবর ২০১৯

এই সময়ে শিশুদের পোশাক

প্রকৃতিতে বইছে মিষ্টি হাওয়া। দিনে গরমের তেজ থাকলেও বিকেল হতে হতেই এক ধরনের স্নিগ্ধ বাতাস যেন খেলে যায়। এই সময়ে গরমের মাত্রা কমতে থাকে। হঠাৎ গরম হঠাৎ ঠা-ায় বেশ বিপাকে পড়তে হয়। বড়দের চেয়ে এর দুর্ভোগ শিশুরাই পেয়ে থাকে বেশি। কারণ তাদের ত্বক অত্যন্ত স্পর্শ কাতর। অন্যদিকে তাদের ঘরেও ধরে রাখা যাবে না। মাঠে যাবে খেলাধুলা করবে। রোদ বৃষ্টি ঝড় সব কিছুই তাদের জয় করা চাই। দেখা যায় বড়দের চেয়ে এই সব ক্ষেত্রে ওদের এনার্জি অনেকাংশে বেশি। তাই খাবার-দাবারের সঙ্গে এই সময়ে তাদের পোশাক-আশাক কি হবে এই দিকটা ভাবা বিশেষভাবে জরুরী। দৌড়-ঝাঁপ করে হঠাৎ ফ্যানের বাতাসে একটু জিরোতে নিলেই যেন ঠা-া লেগে যায়। আবার অনেক সময় ঘাম শুকিয়ে সর্দি কাশি হবার উপক্রম হয়। বিপদ ঘটে একটু মোটা কাপড় পড়লেই। ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে যেতে হয়। যার ফলে এই সময়টায় শিশুদের পোশাক নিয়ে একটু বাড়তি ভাবনায় পড়ে যান অভিভাবকরা। এই সব চিন্তা করে ফ্যাশন হাউজগুলো বরাবরই শিশুদের জন্য নতুন নতুন পোশাকের উদ্ভাবন করে আসছে। বিশেষ করে ঋতুভিত্তিক পোাশাক। মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ফ্যাশন সচেতন। যে কারনে ঋতুর সঙ্গে সঙ্গে পোশাক পরিবর্তনের বিষয় এখন সবারই জানা। অর্থাৎ আবহাওয়া উপযোগী পোশাক সিলেকশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় শিশুদের পোশাক। এ কারনে ফ্যাশন হাউসগুলো আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাজারে আনে ঋতুভিত্তিক পোশাক। যেমন তাঁত কিংবা সুতি কাপড়ের উপর স্ক্রিন প্রিন্ট করা ফ্রক, কামিজ, ফতুয়া, পাঞ্জাবি বেশ মানানসই। কাপড়ের ওপর সলিড কালার ব্যবহার না করে লাইন ওয়ার্কের ডিজাইন করা হয়েছে। ফলে সময়ের সাথে ডিজাইন সহনীয়। কাটিং সেপের ওপরও বিশেষভাবে নজর দেয়া হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে পোশাকগুলো খুবই দৃষ্টিনন্দন। দামও হাতের নাগালের মধ্যে। এ প্রসঙ্গে ডিজাইনার রুশো জানান, এদেশের মানুষের কাছে ঋতুভিত্তিক পোশাক এখন বেশ জনপ্রিয়। দিন যত গড়াচ্ছে মানুষ তত বেশি ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের ফ্যাশন ট্রেন্ড। এটা অবশ্যই একটা ইতিবাচক দিক। বিশেষ করে আমাদের দেশীয় শিল্প বেশ অবহেলায় ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেশীয় শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ক্রেতাদেরও এখন আগ্রহ দেশীয় পোশাকের দিকে। যে কারনে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসের সংখ্যা। ঋতুর পালা বদলে চলছে হেমন্তকাল। এ সময়টায় সূর্যের তেজ একটু একটু করে কমতে থাকে। যে কারনে গরম এবং হাল্কা ঠা-া মিলিয়ে অন্যরকম এক আবহাওয়া সৃষ্টি হয়। এ সময়টায় সমস্যা হলো পোশাক নির্বাচন নিয়ে। বিশেষ করে শিশুদের। এসব বিষয় মাথায় রেখে হেমন্তের পোশাকের কাপড় এবং ডিজাইন সিলেক্ট করা হয়। যেমন সুতি কাপড়ের ফুল সিøভ পোশাক। খাদি কাপড়ের পোশাকও রয়েছে। শিশুদের গেঞ্জি সেট কিংবা ফ্রক সেটে রয়েছে ভেরিয়েশন। ফ্রক একটু লং রাখা হয়েছে। গেঞ্জিতে একটু ভারি ডিজাইন দিয়ে ডিফারেন্ট লুক সৃষ্টি করা হয়েছে। তাছাড়া ফতুয়া কিংবা ছোটদের কামিজে এন্ডিসিল্ক কাপড়ের প্রাধান্য রয়েছে। এ সময়টার জন্য এন্ডি সিল্ক বেশ মানানসই। হাল্কা ঠা-াতেও কাজে লাগে এবং গরমেও আরামদায়ক। এ সময়টায় শিশুদের থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট বেশ উপযোগী। কটন এবং জিন্সের থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট এখন বেশিরভাগ ফ্যাশন আউটলেটগুলোতে চোখে পড়বে। ফ্যাশন ডেস্ক
×