ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জেলখানায় মৃত্যু হলে খালেদার ওজন বাড়বে ॥ গয়েশ্বর

প্রকাশিত: ১০:১৮, ৬ অক্টোবর ২০১৯

 জেলখানায় মৃত্যু হলে খালেদার  ওজন বাড়বে ॥ গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কারাগারে তার মৃত্যু হলে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমঝোতা বা প্যারোলে তিনি মুক্তি নেবেন না। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জিয়া শিশু-কিশোর মেলা আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে দলীয় সাংসদদের দৌঁড়ঝাপের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, সরকার এমপিদের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সনের আপোসহীন নেত্রী উপাধি খারিজ করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে, দায়িত্ববোধ থাকার কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন আমরা করছি, ভবিষ্যতেও করব। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাকে মুক্ত করব। গয়েশ্বর বলেন, শারীরিকভাবে দুর্বল থাকলেও খালেদা জিয়া মানসিকভাবে সবল। আর তিনি মাথানত করার ব্যক্তি নন। হয়ত বা আজকে যারা নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মৃত্যু জেলখানায় করাতে চান- আমি জানি না, আল্লাহ ভাগ্যে কি রেখেছেন। আল্লাহ যদি তার মৃত্যু জেলখানায় রাখেন তাহলে খালেদা জিয়ার ওজন বাড়বে। গয়েশ্বর বলেন, আমরা যারা বিরোধী দলে রয়েছি, তারা কষ্টে আছি। তাই আলোর সন্ধান খুঁজছি। হয়ত বা কিছু একটা হবে। এটা করতে গিয়ে, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমাদের যে কিছু দায়িত্ববোধ আছে তা আমরা ভুলে গেছি। আবার অতিদায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের কিছু কিছু নেতা জেলখানায় নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এটা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। তারা যে নেত্রীর মুক্তির জন্য খুব বেশি আন্তরিক সেটা আমাদের ও জনগণের মধ্যে আশ্বস্ত করতে গিয়ে একটা জিনিস ভাল করেছেন। ম্যাডামের যে আপোসহীন উপাধি আছে, সেটা খারিজ করতে গিয়ে তারা ধরা খেয়েছেন। অর্থাৎ খালেদা জিয়া সরকারের সঙ্গে কোন সমঝোতা ও আপোস করবেন না বা প্যারোলে মুক্তি নেবেন না। গয়েশ্বর বলেন, প্রতিদিন কত মামলার রায় হয়, কিন্তু খালেদা জিয়ার মামলার রায় হয় না। তার মামলা নিয়ে আদালত বিব্রতবোধ করেন। তবে আজ যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন তারা একদিন এর পরিণতি ভোগ করবেন। সরকারের চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, যে দেশের সরকার দুর্নীতিকে লালন করেন, প্রশ্রয় দেয়। সেই দেশে ছোটখাটো দুই-একটা টোকাই ধরে কিছু সময়ের জন্য চমক সৃষ্টি করা যেতে পারে, প্রকৃত অর্থে দুর্নীতির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা যায় না। আমরা মনে করি এই জনসমর্থনহীন সরকার, ভোটারবিহীন সরকার অর্থনৈতিক বিশেষ করে ব্যাংকিং খাত নিঃস্ব করার মধ্য দিয়ে দেশকে একটি দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে। গয়েশ্বর রায় বলেন, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার হিসাব অনুযায়ী দেশে ৭৬ হাজার কোটিপতি রয়েছে। পাঁচ বছর আগে যা ছিল ১৯ হাজার। আর যে পরিমাণে টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে সেই হিসেব করলে দেশে কোটিপতির সংখ্যা কত হবে তার ঠিক নেই। কোটিপতিদের তালিকা প্রকাশ করা হলে দেখা যাবে সবাই আওয়ামী লীগ করেন। আওয়ামী লীগ করা ছাড়া কেউ কোটিপতি হয়নি। গয়েশ্বর বলেন, দেশপ্রেম না থাকলে জাতীয় উন্নয়ন হয় না। তাই দেশপ্রেমিকদের সমবেত করার জন্যই জিয়াউর রহমান মাঠে মাঠে ঘুরেছেন। আজও দেশপ্রেমিক লোক আছে। কিন্তু দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা নেই। এ অবস্থার অবসানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, বর্তমানে রাজনীতি নেই, আছে শুধু গুজব। আর দুর্নীতির অনুসন্ধান অনেক খুঁজছেন।
×