ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

প্রকাশিত: ১০:২৮, ২৬ জুলাই ২০১৯

 সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে  চার্জ গঠন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ দেশজুড়ে আলোচিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদন্ড পাওয়া জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এ মামলায় বিচারের মুখোমুখি। নৃশংস এ হত্যা মামলায় সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা ও জজ এনায়েত কবীর সরকারের আদালতে ১০৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে হত্যা মামলাটির বিচার কাজ শুরু হলো। এর আগে সকালে আদালতে অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মামলার জামিনে থাকা ৬০ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানির জন্য বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে কঠোর নিরাপত্তায় প্রিজন ভ্যানে আদালতের সামনে আনা হয়। সাঈদী হুইল চেয়ারে বসেছিলেন। কয়েক পুলিশ সদস্য হুইল চেয়ার তুলে ধরে সাঈদীকে একটি ভবনের দোতলায় আদালতে নিয়ে যান। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাবিতে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসাইনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ টেনেহিঁচড়ে ম্যানহোলে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ মোট ১১০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে আইনজীবী শওকত সালেহীন বলেন, ফারুক হত্যাকান্ডের দুই দিন আগে ৭ ফেব্রুয়ারি মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও রাজশাহী জামায়াতের শীর্ষ নেতারা শহরে ছাত্রশিবিরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি খুনের নির্দেশনা দেন। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রস্তুতি নেয় ছাত্রশিবির। ৯ ফেব্রুয়ারি তারা সংঘর্ষ বাধিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে হত্যা করে। তাই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ সব আসামির বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এছাড়া শুধু সাঈদীর বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেয়ার ১০৯ ধারায় আরও একটি অভিযোগ আনা হয়েছে। প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদ-ের বিধান রয়েছে। অভিযোগের শুনানির সময় আসামিপক্ষে অন্তত ১০ আইনজীবী ছিলেন। তাদের নেতৃত্ব দেন আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। আদালতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলেও উপস্থিত ছিলেন।
×