ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবরোধে যাত্রাবাড়ী- মালিবাগ সড়ক বন্ধ

প্রকাশিত: ১০:২৮, ৯ জুলাই ২০১৯

 অবরোধে যাত্রাবাড়ী- মালিবাগ  সড়ক বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর অতি গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রধান সড়কে দুই সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রিক্সা চলাচলের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আন্দোলন করেছেন রিক্সাচালক ও মালিকরা। সোমবার সকাল সাতটা থেকে রাজধানীর ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামে রিক্সাচালক-মালিকরা। ফলে যাত্রাবাড়ী থেকে মালিবাগ পর্যন্ত প্রধান সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় মুগদা, মানিকনগর, মান্ডাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার সড়কে অবস্থান নেন তারা। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ জনগণ ও পথচারীরা। এদিকে হঠাৎ আন্দোলনে নামার ফলে এসব রুটে বাস চলাচল অস্বাভাবিক হয়ে যায়। ফলে অফিস করতে ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারীরা ভয়াবহ যানজটের মুখে পরে। অনেকে বাস ও রিক্সা না পেয়ে হেঁটে কর্মস্থলে পৌঁছাতে দেখা গেছে। পরে বেলা দেড়টায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উদ্যোগে মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দিলে রিক্সাচালক ও মালিকরা তাদের আন্দোলন বন্ধ করে সড়ক ছেড়ে চলে যান। তবে রিক্সাচালকদের ঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবারের মধ্যে এ বিষয়ে সুরাহা না হলে তারা আবারও আন্দোলনে নামবেন তারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে মুগদা ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএম সিরাজুল ইসলাম, মান্ডা ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল আলম শামীম, ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খায়রুজ্জামান খায়রুল ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আশ্বাসে তারা সড়ক ছেড়ে চলে যান। মুগদা ও মান্ডার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রিক্সাচালকদের আশ্বাস দেন, এ বিষয়ে সিটি মেয়রের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করা হবে। আশা করি এ বিষয়ে সমাধানে পৌঁছা যাবে। তরুন খাঁ নামের একজন রিক্সাচালক জনকণ্ঠকে বলেন, ৫ বছর ধরে এই রোডেই রিক্সা চালিয়েই ৫ জনের সংসার চালাই। এখন সরকার ঘোষণা দিছে প্রধান ৩টি বড় রোডে রিক্সা চলতে দেয়া হবে না। তাহলে গলি দিয়েই কি শুধু চালামু। বড় রাস্তায় গেলেই পুলিশ আনসার ফিরিয়ে দেয়। তাহলে আমরা রিক্সা চালামু কোথায়? গলিতে চলে ব্যাটারির রিক্সা। সরকার অবৈধ রিক্সা বন্ধ না করে আমাদের রোড বন্ধ করছে। অবৈধ রিক্সা বন্ধ করেন। আমাদের গাড়ি চালাতে দেন। সরকারকে বলেন, গরিবের পেটে লাথি যেন না দেয়। মুগদা থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মুগদা বিশ্বরোড থেকে মানিকনগর বিশ্বরোড পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে সড়ক অবরোধ করে মূল রাস্তায় রিক্সাচালক ও মালিকরা অবস্থান নিয়েছেন। তাদের আমরা সড়ক থেকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বলেছি কিন্তু তারা দাবি না মানা পর্যন্ত সরবে না বলছে। তবে তাদের সরাতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটির (ডিটিসিএ) এক বৈঠকে রাজধানীর দুটি প্রধান রুটে রিক্সা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রবিবার ৭ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। প্রাথমিকভাবে গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে আজিমপুর ও সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রিক্সা চলাচল করবে না। এছাড়া কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে রামপুরা হয়ে খিলগাঁও-সায়েদাবাদ পর্যন্ত রিক্সাসহ অন্যান্য অবৈধ ও অননুমোদিত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে প্রথমদিন দুটি রুটের অন্যত্র রিক্সা চলাচল বন্ধ থাকলেও মালিবাগ থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত রিক্সা চলাচল করতে দেখা যায়।
×