
অনলাইন ডেস্ক ॥ মহেন্দ্র সিংহ ধোনির এক পরামর্শেই হ্যাটট্রিক পেলেন মোহাম্মদ শামি। শেষ ওভারে বাংলার পেসার পর পর তিনটি বলে তিনটি উইকেট নেওয়ার পরে সোশ্যাল সাইটে এমন কথাই বলা হচ্ছে।
শনিবার লিডসে শেষ ওভারে জেতার জন্য আফগানিস্তানের দরকার ছিল ১৬ রান। ক্রিজে তখন মোহাম্মদ নবি। আফগানদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে নবির চওড়া ব্যাট। শামির প্রথম বলটাই বাউন্ডারিতে পাঠান নবি। দ্বিতীয় বলটা ডিপ মিড উইকেটে ঠেলেও রানের জন্য দৌড়ননি নবি।
তৃতীয় বলটি করার আগে দেখা যায় উইকেটের পিছন থেকে শামির কাছে ছুটে আসছেন ধোনি। বাংলার পেসারকে কিছু একটা পরামর্শ দিতে দেখা যায় ধোনিকে। বাকিটা ইতিহাস। নবি, আফতাব আলম ও মুজিবুর রহমানকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতকে ১১ রানে ম্যাচ জেতান শামি। ধোনিকে শামির কাছে এগিয়ে আসতে দেখার পরে ক্রিকেট সমর্থকদের কৌতূহলও বেড়ে যায়। ধোনি কী এমন বললেন যার জন্য হ্যাটট্রিক করতে পারলেন শামি? সেই রহস্য সাংবাদিক বৈঠকে ফাঁস করেছেন ভারতের পেসার। শামি বলেন, ‘‘ইয়র্কার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। মাহিভাইও আমাকে ইয়র্কারই দিতে বলে।’’ রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের শেষ ওভারে অনুজ শামির জন্য কী পরামর্শ ছিল অগ্রজ ধোনির? শামি বলছেন, ‘‘মাহিভাই আমাকে বলে, কিছু পরিবর্তন করার দরকার নেই। ওপরে বলটা রাখিস না। বরং ইয়র্কার দে। হ্যাটট্রিক পেতেও পারিস।’’
ধোনির কথামতোই শামি ইয়র্কার দেন। ওই দুটো ইয়র্কারের জবাব ছিল না আফতাব ও মুজিবের কাছে। ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন চেতন শর্মা। তার পরে দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে চলতি বিশ্বকাপে শামি করলেন হ্যাটট্রিক। তিনি আরও বলেন, ‘‘খুব বেশি চিন্তাভাবনা করার সময় হাতে ছিল না। নিজের স্কিলের উপরেই ভরসা রেখেছিলাম। বোলিংয়ে বেশি বৈচিত্র্য আনতে গেলে রান দিয়ে ফেলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমার উদ্দেশ্যই ছিল ব্যাটসম্যানের মন না পড়ে নিজের প্ল্যান অনুযায়ী বল করে যাওয়া।’’ ঠান্ডা মাথায় তা করায় ফল পেয়েছেন বাংলার পেসার।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা