ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবসায়ীর মৃত্যু

টাঙ্গাইলে এসআইসহ ৮ পুলিশ প্রত্যাহার ॥ তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ২৬ মে ২০১৯

 টাঙ্গাইলে এসআইসহ ৮ পুলিশ প্রত্যাহার ॥ তদন্ত কমিটি

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৫ মে ॥ গোপালপুরে পুলিশী অভিযানে মাংস ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিমের (৫৫) মৃত্যুর ঘটনায় গোপালপুর থানার এসআইসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর আন্দোলনের মুখে শুক্রবার রাতেই গোপালপুর থানার এসআইসহ ৮ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেয় জেলা পুলিশ। তারা হলো- উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশরাফুল আলম, কনস্টেবল ফরিদ আহমেদ, গোলাম মোস্তফা, খায়রুল ইসলাম, সালমান সাদিক, সাদ্দাম হোসেন, গাড়ি চালক কনস্টেবল আব্দুস ছাত্তার। এদিকে মৃত্যুর এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাসুদুর রহমান মনিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলো- জেলা বিশেষ শাখার ডিআইও-১ হারেচ আলী মিঞা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (উত্তর) সাজ্জাদ হোসেন। তদন্ত কমিটি শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে। এছাড়া গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলিম আল রাজীর নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এদিকে শুক্রবার রাতেই বিক্ষুব্ধ লোকজনের দাবির প্রেক্ষিতে গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে নিহত আব্দুল হাকিমের লাশের সুরতহাল তৈরি করা হয়। জানা যায়, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পুলিশের নির্যাতনে মাংস ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিমের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বাড়ি ঝাওয়াইল ইউনিয়নের ঝাওয়াইল গ্রামে। তবে পুলিশ নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ঝাওয়াইল গ্রামবাসী গোপালপুর সড়কের ওপর খড়ের পালায় আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্ত পুলিশদের বিচার দাবি করেন। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় স্থানীয় জনগণ ও পুলিশের কনস্টেবল রোকনসহ ৬ জন আহত হয়। এদিকে এ খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শফিকুল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা। তারা উপস্থিত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
×