ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১০ লাখ ফিলিস্তিনীকে খাদ্য সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন ॥ জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ১০:১৭, ১৭ মে ২০১৯

 ১০ লাখ ফিলিস্তিনীকে  খাদ্য সঙ্কটের দিকে  ঠেলে দিয়েছে  ট্রাম্প প্রশাসন ॥  জাতিসংঘ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ লাখ লাখ ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকারে ভারি হয়ে উঠছে পৃথিবীর বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগারখ্যাত ফিলিস্তীনের গাজা উপত্যকার আকাশ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী শরণার্থী বিষয়ক ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনী সহায়তা তহবিলে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়ায় এই সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এখনি এই ঘাটতি পূরণ না করা গেলে আগামী মাস থেকেই ১০ লাখেরও বেশি মানুষ খাদ্য সঙ্কটে পড়বে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের। -খবর ইয়াহু নিউজের। ট্রাম্প প্রশাসন জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকেই ফিলিস্তীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হতে শুরু করে। তখন থেকেই গাজা ও পশ্চিম তীরের জন্য জাতিসংঘের সহায়তা খাতে বরাদ্দ বাতিল করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা থেকে ফিলিস্তিনীদের জন্য ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দ প্রত্যাহারের পর গত বছর জুনে ফিলিস্তিনীদের আরেকটি সহযোগিতাও বাতিল করা হয়। এই ঘাটতি পূরণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব দেশগুলোসহ রাশিয়া এবং চীনের মতো সমৃদ্ধশালী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। তারা জানায়, লাখ লাখ মানুষকে ক্ষুধার তাড়না থেকে বাঁচাতে জুনের মাঝামাঝিতেই ৬ কোটি ডলার প্রয়োজন। সংস্থাটির পরিচালক ম্যাথিয়াস স্কেমেল বলেন, আমরা খাবার সরবরাহের বিষয়ে খুবই জটিল পরিস্থিতিতে রয়েছি। আমরা ১০ লাখ মানুষকে তাদের প্রয়োজনের এক চতুর্থাংশ খাবার সরবরাহে সমর্থ হচ্ছি। ন্যূনতম এই খাবার না পেলে তাদের অনেকেই বাঁচবে না। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার আগে ম্যাথিয়াস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ বন্ধ করার কারণেই এই ঘাটতি পূরণ জরুরী হয়ে পড়েছে। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনী বিষয়ক সংস্থাকে ৩৬০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালে এসে তারা ঘোষণা দেয় আর কোন সহায়তা দেয়া হবে না। ম্যাথিয়াস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ সহায়তা বন্ধ করে দেয়া দুর্ভাগ্যজনক ও দুঃখজনক। খানিকটা সময় নিয়ে সহায়তা কমাতে থাকলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারতো। তবে একদিনের মধ্যে ত্রাণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যখাত ও নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজের বরাদ্দ কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে ইউএনআরডব্লিউএ।
×