অনলাইন মার্কেটিং করের আওতায় আনার দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইউটিউব, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গুগলে দেয়া অনলাইনের সব ধরনের মার্কেটিংকে করের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন : গণমাধ্যমের সঙ্কট ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। দেশের প্রযুক্তি খাতের সাংবাদিকতার বিকাশ, উন্নয়ন ও গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণের লক্ষ্য নিয়ে নতুন সংগঠন টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশের (টিএমজিবি) যাত্রা শুরু উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ টিআইএম নূরুল কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন টিএমজিবির আহ্বায়ক মুহম্মদ খান। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বেসরকারী টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন এ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এ্যাটকো) সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক, সেলফোন অপারেটরদের সংগঠন এ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এ্যামটব) মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এসএম ফরহাদ প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপনী ব্যয়ের কথা চিন্তা করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কথা ভাবতে হবে। প্রথাগত গণমাধ্যম থেকে ধীরে ধীরে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কীভাবে বিজ্ঞাপনী ব্যয় কমানো যায়, তা আমাদের দেখতে হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিজ্ঞাপনের খরচ পরিশোধের ব্যবস্থায় কর কমাতে হবে। প্রতিবছর অনলাইন বিজ্ঞাপনে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হয় উল্লেখ করে বেসিস সভাপতি বলেন, দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১০ ভাগ অর্থাৎ প্রায় দেড় কোটি মানুষ অনলাইনে পণ্য বা সেবা গ্রহণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রটি ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। প্যানেল আলোচনায় মোজাম্মেল হক বলেন, দেশীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৈরি করে সেটিকে জনপ্রিয় করতে হবে। তাতে ফেসবুক, ইউটিউবের মতো বিদেশী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর বিজ্ঞাপনগুলো নিয়ে যেতে পারবে না। এ্যামটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এসএম ফরহাদ বলেন, ইউটিউব, গুগল, ফেসবুকে দেয়া বিজ্ঞাপনের টাকা তো বিদেশে চলে যাচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে। এতে করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিজ্ঞাপন দেশের বাইরে আর যাবে না।