ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একুশ বছরেও বিচার শেষ হয়নি ॥ জজকে তলব

প্রকাশিত: ১০:৫১, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

একুশ বছরেও বিচার শেষ হয়নি ॥ জজকে তলব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একুশ বছর আগে (৯৮ সালের ১৬ মার্চ) ডেমরায় হযরত আলী হত্যা মামলার বিচার এখনও সম্পন্ন না হওয়ায় ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নুরুল আমিন বিপ্লবকে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৮ মে তাকে ওই মামলার নথিসহ হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়। ওই মামলার আসামি হেমায়েত ওরফে কাজল ওরফে কাননের জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে এ আদেশ দেয়া হয়। আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ মিয়া বাদশা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় নিম্ন আদালতে ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি। বারবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য হচ্ছে। আগামী ২ মে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ আদেশের পর সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৮ সালে ডেমরা থানায় দায়ের হযরত আলী হত্যা মামলার আসামি হেমায়েত ওরফে কাজল ওরফে কানন জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন। সোমবার মামলার জামিন শুনানির সময় এত বছরেও মামলার বিচারকাজ শেষ না হওয়ায় ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরুল আমিন বিপ্লবকে তলব করেছে। আগামী ৮ মে আদালতে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। কারাবন্দী আসামি হেমায়েতের জামিন নিয়েও ওইদিন শুনানি হবে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১৬ মার্চ হযরত আলীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একইসঙ্গে মাসুদ হোসেন ব্রিটেন নামের আরেক যুবকের দুই হাত কেটে নেয়া হয়। এই ঘটনায় নিহতের বাবা শওকত আলী ফকির বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১৫ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মামলা করেন। বর্তমানে এটি শ্যামপুর থানায় অন্তর্গত। এ মামলায় তদন্ত শেষে হেমায়েতসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের ১১ মে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় নিম্ন আদালতে ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি। বারবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য হচ্ছে, আগামী ২ মেও সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। এই মামলায় আসামি হেমায়েত এর আগে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আদালতে হাজির না হওয়ায় গতবছর ৭ ফেব্রুয়ারি তার জামিন বাতিল করে বিচারিক আদালত। এর একবছর পর গত ৩১ মার্চ নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে হেমায়েত। আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে। এ অবস্থায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। সোমবার এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে হাইকোর্ট বিচারককে তলব করেছে।
×