স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর এলাকার ইছাগুড়া রাজগড় গ্রামে রেজাউল করিম রিয়াজ (৪০) নামের এক দলিল লেখককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আজ শুক্রবার দুপুরে দ্বিতীয় স্ত্রী, শ্যালকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে ওইদিন ভোরে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়াজ ওই এলাকার ছাত্তার হাওলাদারের পুত্র এবং পেশায় একজন দলিল লেখক ছিলেন।
আটককৃতরা হলো-নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী লিজা বেগম, শ্যালক ও প্রতিবেশী একজন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসি নুরুল ইসলাম পিপিএম। পুলিশ জানায়, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে তারা নিহত রেজাউল করিমের বাড়িতে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উল্লেখিত তিনজনকে আটক করা হয়।
সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে স্ত্রী লিজাকে নিয়ে স্বামী রেজাউল করিম রিয়াজ ঘুমিয়ে পরেন। এরপর গভীর রাতে পরিকল্পিতভাবে রিয়াজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতের বোন জাহেদা বেগম জানান, চার বছর পূর্বে লিজাকে তার ভাই (রেজাউল) দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের কোন সন্তান নেই। এনিয়ে উভয়েরমধ্যে প্রায়ই দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিলো। লিজার পিতা বরিশাল নদী বন্দরের ঢাকাগামী এ্যাডভ্যেঞ্চার লঞ্চের কলম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, রেজাউলের সাথে তার ছোট ভাই রুবেল হাওলাদারের লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই বিরোধের কারণে হত্যাকান্ড হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্তের জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে দাবি করেন।
জাহেদা বেগম আরও জানান, একই ঘরে স্বামী-স্ত্রী রাত্রীযাপন করা অবস্থায় তার ভাই রেজাউল করিমকে গলা কেটে ও উপর্যপুরি কুপিয়ে হত্যা করা হলেও লিজা ছিলেন অক্ষত। এমনকি তার গায়ে এক ফোটা রক্তের দাগ না পাওয়া যাযনি। এ ব্যাপারে তিনি (নিহতের বোন জাহেদা বেগম) বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কোতয়ালি থানার ওসি আরও জানান, নিহতের বসত ঘরের একপ্রান্তে ছোট একটি সিঁদ কাটা থাকলেও তা দিয়ে মানুষ ভেতরে আসা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত ও তথ্য যাচাই-বাছাই করেছেন। এ বিষয়ে গভীর তদন্ত ও আটককৃতদের জিজ্ঞাসা করে হত্যাকান্ডের মূলরহস্য উদ্ঘাটন করা হবে বলেও তিনি (ওসি) উল্লেখ করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: