ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানি গুজব ও প্রোপাগান্ডায় রয়েছে পুলিশী নজরদারি

প্রকাশিত: ১০:২৩, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

 সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানি গুজব ও প্রোপাগান্ডায় রয়েছে পুলিশী নজরদারি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পহেলা বৈশাখ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন ধরনের উস্কানি, গুজব ও প্রোপাগান্ডায় কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই আয়োজনে নিরাপত্তা নিয়ে কোন শঙ্কা দেখছেন না। গুজবের বিষয়ে পুলিশী নজরদারি রয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্ষবরণের উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে ঢাকাসহ সারাদেশে গোয়েন্দা নজরদারিসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা এখন যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া গুজব ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকছে সাইবার সিকিউরিটি ইউনিটের নজরদারি। আমরা পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। তিনি জানান, দেড় দশক আগে এই অনুষ্ঠানে জঙ্গীরা বোমা হামলা চালিয়েছিল। এরপর জঙ্গী উত্থানের প্রেক্ষাপটে গত কয়েক বছর ধরে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে জোরদার। নিরাপত্তার বেড়জালে উৎসবের আমেজে ঘাটতি দেখা যায় বলেও অভিযোগ রয়েছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পহেলা বৈশাখের দিন সকালে এখান থেকে শুরু হবে ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা শহরের সবাই এই শোভাযাত্রা ও বটমূলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, রাজধানীর প্রতিটি বড় উৎসব উদযাপনস্থল সিসিটিভি (ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা) ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে আরও কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের তৎপরতায় কোন ধরনের নাশকতার শঙ্কা নেই। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি জাতীয় উৎসব। কেউ যদি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় জনগণই তার প্রতিরোধ করবে। এবারের বৈশাখের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবারের নিরাপত্তা অন্যবারের মতোই। নতুন কোন চ্যালেঞ্জ নেই। অপরাধীরা নানাভাবে মেধা প্রয়োগ করে। আমরা সেভাবেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে তৈরি করতে সক্ষমতা বাড়িয়েছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদারসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
×