ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পেঁয়াজের কমলেও চড়া মুরগির দাম

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ২২ মার্চ ২০১৯

  পেঁয়াজের কমলেও চড়া মুরগির দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিত্যপণ্যের বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম। তবে মুরগি আগের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫ টাকা কমে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২২-২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। আর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। সরবরাহ কম থাকায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। ওষুধি সবজি পেঁপে, করলা, কাঁচকলা, সজনে ডাটার চাহিদা বেড়েছে। জাত ও মানভেদে ৪০-১৬০ টাকার মধ্যে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে শীতকালীন সবজি টমেটো, লাউ ও ফুলকপির সরবরাহ রয়েছে বাজারে। এছাড়া ভোগ্যপণ্য চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, আটা, চিনি ও ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বৈশাখ সামনে রেখে চড়া ইলিশ মাছের দাম। শুক্রবার রাজধানীর কাপ্তান বাজার, কাওরান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, মুগদা বড় বাজার এবং যাত্রাবাড়ী বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনে শবে-বরাত, পহেলা বৈশাখ ও রমজান মাসের মতো তিন উৎসব সামনে রেখে ইতোমধ্যে বাজার চাঙা হয়ে উঠছে। বাজারে বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বৈশাখ সামনে রেখে ইতোমধ্যে বাজারে ইলিশের সঙ্কট তৈরি করা হয়েছে। ফলে বেড়েছে দাম। যদিও এই সময় দেশী জাতের অন্যান্য মাছের দামও চড়া। এছাড়া শবে-বরাত ও রমজান রয়েছে সামনে। ওই সময়ে নিত্যপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়ে ঠিক তেমনি দাম বেশি নিতে অসাধু ব্যবসায়ীদেরও কারসাজি থাকে। এক্ষেত্রে সরকারের নজরদারি বাড়ানো হলে ব্যবসায়ীরা কারসাজির তেমন কোন সুযোগ পাবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক মাস ধরে বাজারগুলোতে নতুন সবজি পাওয়া গেলেও গত সপ্তাহ থেকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন আসা সজনে ডাটা ও বরবটি। গত সপ্তাহের মতো বাজার মানভেদে সজনা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। দামের দিক থেকে এরপরেই রয়েছে পটল ও করলা। বিভিন্ন বাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করলা। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। এছাড়া শিম গত সপ্তাহের মতো ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, ফুলকপি ও বাধাকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ঝিঙ্গা ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, শালগম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। পেঁপে আগের মতো ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, গাজর বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। আর গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বৈশাখ মাস সামনে রেখে ইলিশ মাছের দাম চড়া। মাঝারি সাইজের প্রতিজোরা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে চালসহ ও অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম।
×