ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার নির্বাচনে সহিংসতা কম ॥ কাজী রিয়াজুল

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২ জানুয়ারি ২০১৯

এবার নির্বাচনে সহিংসতা কম ॥ কাজী রিয়াজুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নোয়াখালীতে ভোট প্রদানকে কেন্দ্র করে এক নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাসহ সারাদেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক মানবাধিকার সংরক্ষণ সংশ্লিষ্ট কমিশনে আসা ৫২ অভিযোগের ঘটনা অতিদ্রুত তদন্ত করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একইসঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে ভোটের ব্যবধান এত বেশি হওয়ার কারণ খুঁজতে গবেষণার প্রয়োজনের কথা বলেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় তিনি নির্বাচন কেন্দ্রিক মানবাধিকার সংরক্ষণ নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে সেগুলোর তুলনায় এবার সহিংসতার হার কম। তাই দলীয় সরকারের অধীনেও অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তিনি বলেন, নোয়াখালীতে এক নারীকে সংঘবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের বিষয়টি গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা শুনেছি। তাই কমিশন স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করব। এ সময় তিনি বলেন, আমরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সারাদেশ থেকে ৫২টি অভিযোগ পেয়েছি। এদের মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগ ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোট না দিতে বাধা প্রদান, এ রকম অভিযোগ এসেছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের সচিবকে বলা হয়েছে। অতি দ্রুতই এর কাজ শুরু করা হবে। নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে ভোটের ব্যবধান এত বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর কারণ আমি বলতে পারব না, তবে এত ভোটের ব্যবধান কেন হলো, এটা নিয়ে একটা গবেষণা হতে পারে। এটা গবেষণা করে দেখা উচিত। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সহিংসতা কম হয় কিনা জানতে চাইলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, কোন মৃত্যুই কাম্য না। নির্বাচনী সহিংসতায় নাগরিকদের নিহতের ঘটনা গণমাধ্যমে কমিশন জানতে পেরেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে মানুষগুলো সহিংসতায় মারা গেছেন, আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিব। তারা এসব বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাও জানব। আমরা কমিশনের পক্ষ থেকেও তদন্ত করব। তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের একটি মিটিং হবে। এসব বিষয়ে কী কী করা যায়, আমরা তার সিদ্ধান্ত নেব।
×