অনলাইন রিপোর্টার ॥ একাদশ সংসদ নির্বাচনে অভাবনীয় জয়ের পর নেতাকর্মীদের আনন্দের আতিশয্যে ‘বাড়াবাড়ি’ না করার আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে যেন কোনো ‘খারাপ আচরণ’ করা না হয়, সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচনে জয়ের পরদিন সোমবার নিজের জেলা নোয়াখালীতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের ওই নির্দেশ দিয়েছেন।
“আমাদের নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মিছিল করতে না করেছেন। আপনার ধৈর্য্যের সঙ্গে, সংযমের সঙ্গে এই বিজয়ের আনন্দ নিজেরা ঘরোয়াভাবে উদযাপন করবেন। কেউ বাড়াবাড়ি করবেন না। আমাদের যারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না।”
দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে যে ২৯৯টিতে রবিবার ভোট হয়েছে, তার মধ্যে ২৯৮টির ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২৫৯টি আসনে পেয়েছে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর তাদের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮ আসন। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
এর বিপরীতে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে। তাদের ধানের শীষের প্রার্থীরা মাত্র সাতটি আসনে জয়ী হতে পেরেছে। ইতোমধ্যে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
আওয়ামী লীগ সাধারণ ওবায়দুল কাদের নিজেও নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে বড় জয় পেয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা মওদুদ আহমদকে তিনি হারিয়েছেন প্রায় ২ লাখ ৪২ হাজার ভোটের ব্যবধানে।
কাদের বলেন, দেশের কোনো কোনো এলাকায় ভোটে কিছু গোলযোগ হলেও কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাটে তেমন কিছু হয়নি। নিজের নির্বাচনী এলাকার কর্মীদের ‘রাজনৈতিক অতিহ্য’ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সবাইকে বলছি, আমাদের এলাকায় একটা ঐতিহ্য আছে, রাজনীতির যে বাকবিতণ্ডা এটা মাঠে থাকবে। কারো বাড়িঘরে গিয়ে যেন রাজনৈতিক রেষারেষির প্রতিক্রিয়া না হয়।
“আমি বিদ্বেষের রাজনীতি, প্রতিহিংসা, প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। রাজনীতি জোয়ারভাটা… কখনো জোয়ার আসবে, কখনো ভাটা। কেউ এই জোয়ার দেখে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি দেখাবেন না।”
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: