অনুমতির অভাবে দেশের অনেক বড় বড় সার্কাস কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে চরম বিপাকে পড়েছেন এর সঙ্গে জড়িতরা। আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কাস দেখানোর সুযোগ না পেয়ে তাদেরকে এখন ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় হাটে-বাজারে কসরত দেখাতে হয়। দিনাজপুরের হিলিতে এমনই তিনজনের দেখা পাওয়া গেছে, যারা হাটে-বাজারে সার্কাস দেখিয়ে জীবিকার চাকা চালু রেখেছেন। তিনজনই শারীরিক প্রতিবন্ধী।
হিলি বাজারসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর বিভিন্ন হাট-বাজারে সার্কাস দেখান মফিজুল ইসলামসহ তিন প্রতিবন্ধী। তাদের কসরত দেখতে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ভিড় করেন। কলসি ভরা পানি মাথায় নিয়ে নৃত্যসহ নানা ভঙ্গির খেলা দেখান তারা। দুই পা ওপরে তুলে হাতের ওপর ভর করে হেঁটে যাওয়াসহ আছে আরও নানান কৌশল।
প্রতিবন্ধী মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আগে সারা বছরই দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় সার্কাস কোম্পানিগুলোর শো চলত। আমি ও আমার ছেলে সেখানে সার্কাস দেখাতাম। তাতে সংসার কোন রকমে চলত। কিন্তু বর্তমানে অনুমতি না পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সার্কাসের শো বন্ধ। সার্কাস কোম্পানিগুলোও বন্ধের পথে।’ তিনি বলেন, এখন কাজ না থাকায়, বাধ্য হয়ে আমার ছেলেকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে সার্কাস দেখিয়ে উপার্জন করছি। তা দিয়েই কোন রকমে সংসার চালিয়ে নিতে হচ্ছে।
-সাজেদুর রহমান শিলু, দিনাজপুর থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: