ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

কুড়িগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

কুড়িগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রাজারহাট উপজেলার নাককাটির হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষেই চলছে খুদে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। যে কোন সময় কক্ষটির ছাদের পলেস্তারা খসে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও শ্রেণীকক্ষ সঙ্কটে ঝুঁকি নিয়েই এ পাঠদান অব্যাহত রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক বছর আগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করলেও নতুন ভবন নির্মাণ না করায় এ সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজারহাট উপজেলার নাককাটিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৯৩ সনে একটি অফিস কক্ষসহ চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মিত হয়। প্রায় দুই বছর আগে ভবনের একটি শ্রেণীকক্ষের বিভিন্ন অংশ ধসে পড়া শুরু করলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শ্রেণীকক্ষটি পরিত্যক্ত হিসেবে তালাবদ্ধ করে রাখেন। অপর শ্রেণীকক্ষ দুটিরও বিভিন্ন অংশে ধস নামায় এক বছর আগে উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ পুরো ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে এবং নতুন ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়ায় উপায়হীনভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষ দুটিতেই পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় প্রচ- ভীতি নিয়ে ওই কক্ষেই পাঠ দান করানো হচ্ছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বপন কুমার, রবিউল ইসলাম ও শারমিন আক্তার জানান, আমাদের ক্লাস রুম না থাকায় আমরা বাধ্য হয়ে ক্লাস করি। কিন্তু আমরা সব সময় ভয়ে থাকি। যে কোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা চাই আমাদের জন্য নতুন ক্লাসরুম তৈরি করা হোক। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুলতানা পারভিন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে চায় না। তবু ও সেখানেই ক্লাস করতে হচ্ছে। দেয়াল ও ছাদের প্লাস্টার ধসে পড়ে। এছাড়া বর্ষাকালে কক্ষের ভিতর পানি জমে থাকে। প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন ম-ল জানান, আমরা উপায়হীন হয়ে পড়েছি। নিম্নমানের ইটগুলোর ওপর নতুন প্লাস্টার কিংবা মেরামতও সম্ভব না হওয়ায় ওই কক্ষেই পাঠদান করাতে হচ্ছে। বিষয়টি বারবার উপজেলা শিক্ষা অফিসকে অবগত করেও কোন লাভ হয়নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকা করে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।
×