ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ঘোষণায় কাল আনন্দ মিছিল

প্রধানমন্ত্রীকে বেসরকারী স্কুল-কলেজ শিক্ষক কর্মচারীদের কৃতজ্ঞতা

প্রকাশিত: ০৫:১২, ১০ নভেম্বর ২০১৮

 প্রধানমন্ত্রীকে বেসরকারী স্কুল-কলেজ শিক্ষক কর্মচারীদের কৃতজ্ঞতা

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় খুশি দেশের বেসরকারী স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘোষণাকে ঐতিহাসিক অর্জন অভিহিত করে দেশের শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি লাখ লাখ বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। শিক্ষক সমাজ অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ পুরো শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও। এর আগে বৃহস্পতিবার গণভবনে এক বৈঠকে বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন’টি ট্রাস্টের মধ্যে ১০০ কোটি টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন এবং অবসর সুবিধাবোর্ডের সদস্য-সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী, কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাজাহান আলম সাজুসহ অন্যরা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে এমপিওভুক্ত প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী প্রতিবছর সরকারী শিক্ষকদের মতো বৈশাখী ভাতা ও পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে বেসরকারী শিক্ষা খাতের বিপ্লব বলে অভিহিত করেছেন শিক্ষা সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেসরকারী শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বেসরকারী শিক্ষা খাতে এক বিপ্লব ঘটে গেল।’ এদিকে এ ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবকে অভিনন্দন জানিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠনগুলো। বৈঠকে ছিলেন অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী। তিনি বলছিলেন, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। তিনি আজ আমাদের গণভবনে ডেকে বৈশাখী ভাতা, ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও অবসর-কল্যাণের ফান্ডে অর্থবরাদ্দসহ একগুচ্ছ সুসংবাদ দিয়েছেন। শিক্ষক-কর্মচারীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন এই দিনটির জন্য। বৈঠকে ছিলেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম। গণভবন থেকে বেরিয়ে তার সংগঠনের শিক্ষকরা আনন্দ মিছিল করেছেন। আগামীকাল রবিবার সারাদেশে আনন্দ মিছিলের ঘোষণাও দিয়েছেন শিক্ষকরা। স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু এক যুক্ত বিবৃতিতে বেসরকারী শিক্ষকদের বহু কাক্সিক্ষত ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বাবদ ৫৩১ কোটি ৮২ লাখ, ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাবদ ১৭৭ কোটি ২৭ লাখ, অবসর বোর্ডের জন্য ৫৪২ কোটি এবং কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ২৩৫ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতার জননী অভিহিত করে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও প্রমাণ করেছেন তিনি শিক্ষা বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক-সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার। তিনি বলেছেন, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। শিক্ষক নেতা আরও বলেন, এটি দেশের শিক্ষা পরিবারের জন্য অনন্য একটি দিন। এটি বিশাল এক অর্জন শিক্ষক-কর্মচারীদের। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় শিক্ষক-কর্মচারীদের খুশির দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা অত্যন্ত সময়োগযোগী। শিক্ষক-কর্মচারী সমাজের জন্য বিশাল এক পাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ কলেজ বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সভাপতি ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই এ বিশাল কাজ করা সম্ভব। শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে শিক্ষক নেতা বলেছেন, তারাও এ বিষয়টির জন্য অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন। তাদের অভিনন্দন। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আসাদুল হক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য যা করেছেন অতীতে কেউ তা করেননি। এই অর্জন শিক্ষক-কর্মচারীরা আজীবন মনে রাখবেন। বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাণের দাবি মেনে নেয়ায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওছার আলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল মোঃ সেলিম প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এছাড়াও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বাশিস) সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম রনি, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আবুল বাশার হাওলাদার, বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ। এদিকে এক যুক্ত বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের ১০টি শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ মোর্চা শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি। শিক্ষক নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারীকরণের প্রথম পদক্ষেপ। বিবৃতিদাতারা হলেন, বজলুর রহমান মিয়া, প্রফেসর ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকী, মোঃ আজিজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, অধ্যক্ষ আসাদুল হক, সেয়দ জুলফিকার, অধ্যক্ষ মোঃ ফয়েজ হোসেন, অধ্যক্ষ মোঃ কাউসার শেখ, বিলকিস জামান, মোঃ মহসীন রেজা, অধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ইয়াদ আলী, মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, মোঃ ফখরুদ্দীন জিগার, মোঃ শহীদ মোল্লা, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার। নির্বাচনের আগে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন দাবি ॥ নির্বাচনের আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের ঘোষণাসহ সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের দাবি করেছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ। শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় এ দাবি জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, সদস্য সচিব সুব্রত রায়, উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক এম.এ ছিদ্দিক মিয়া, সদস্য মোঃ গোলাম মোস্তফা, মুহম্মদ মিজানুর রহমান, বাধন খান পাঠান ববি, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান, খুরশীদা আক্তার প্রমুখ।
×