ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আইএনএফ চুক্তি নিয়ে জাতিসংঘে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

প্রকাশিত: ০৩:৩১, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

আইএনএফ চুক্তি নিয়ে জাতিসংঘে মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তিতে ভূমিকা রাখা অন্যতম একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি নিয়ে জাতিসংঘে একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তিন দশক আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তিতে উভয়পক্ষের ওপর ইউরোপে ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাখায় নিষেধাজ্ঞা আছে। খবর ওয়েবসাইটের। ট্রাম্প সম্প্রতি ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্স (আইএনএফ) চুক্তিটি থেকে ওয়াশিংটনকে তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মস্কো বলেছে, চুক্তিটি বাতিল হলে বিশ্ব অস্ত্র দৌঁড়ের ঝুঁকিতে পড়বে। আইএনফ চুক্তি বহাল রাখতে জাতিসংঘকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নামাতে চেষ্টা করেও রাশিয়া ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের অস্ত্রনিরোধ কমিটি যেন ওয়াশিংটন ও মস্কোকে চুক্তি বহাল রাখার আহ্বান জানায়, সেজন্য একটি খসড়া প্রস্তাব বিবেচনার জন্য সাধারণ পরিষদে তুলেছিল রাশিয়া। অস্ত্রনিরোধ কমিটিতে প্রস্তাব পাঠানোর শেষ সময় ছিল ১৮ অক্টোবর। তারও দুইদিন পর ট্রাম্প আইএনএফ থেকে তার দেশ সরে আসবে বলে জানায়। যে কারণে, দেরিতে হলেও কমিটি যেন রাশিয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করে, তার অনুমোদন চাইতে সাধারণ পরিষদে গিয়েছিল মস্কো। তাদের অনুরোধ ৫৫-৩১ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়। ৫৪টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। ১৯৮৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্বাচেভ ও যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের মধ্যে ওই আইএনএফ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ৫০০ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে সমুদ্রে একই মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র রাখার বিষয়ে আপত্তি ছিল না। রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই চুক্তিটি ‘লঙ্ঘন’ করে আসছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের। মস্কো এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছে, যুক্তরাষ্ট্রই চুক্তিটিকে অকার্যকর দেখতে চায়।
×