ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

উবাচ

কামালের ভুল! স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিপরিষদের সদস্য। পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন খ্যাতিমান এই আইনবিদ। বনিবনা না হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গঠন করেন গণফোরাম। এর পর থেকে ক্ষমতায় যাওয়ার চাঁদ আর হাতে আসেনি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এবার নতুন করে পুরনো স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তিনি। গঠন করেছেন নতুন নির্বাচনী মোর্চা। তাছাড়া স্বপ্ন দেখাটা তো স্বাভাবিক। বিএনপির মতো দল যদি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোট গঠন করে...। যদিও জামায়াত ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনের বিষয়ে বেশি সোচ্চার ছিলেন গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন। বার বার শর্ত দিয়েছিলেন বিএনপি যদি জামায়াতকে না ছাড়ে তাহলে কোন ঐক্য হবে না। শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে কোন্ চুক্তিতে আবদ্ধ হলেন তিনি, কে জানে। গাঁটছড়া বেঁধেছেন বিএনপির সঙ্গে। কিন্তু পুরনো মিত্র বিকল্পধারাকে কোন রকম সৌজন্য ছাড়াই জোট থেকে বাদ দিয়ে দিলেন। হঠাৎ কট্টর জাতীয়তাবাদী প্রেমে পড়া ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম কর্মসূচী হিসেবে সিলেটের সমাবেশে যোগ দেন বুধবার। এত কাঠখড় পুড়িয়ে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করলেন তিনি। অথচ সভাপতির বক্তব্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাতেই ভুলে গিয়েছিলেন...। এ তো মহা ভুল! মস্ত বড় ভুল দিয়ে কি সমাবেশ শেষ হতে পারে। না। এটা হয় না। সমাপনী বক্তব্য দিয়ে যখন চেয়ারে ফিরছিলেন তিনি তখন কানে কানে মন্ত্র। নেতা ভুল হয়ে গেছে। সাধারণ কোন ভুল নয়! কামাল হোসেনের চোখ কপালে ওঠার মতো। কানমন্ত্র পেয়ে নিজের ভুল শুধরে নিলেন কামাল হোসেন। জানা গেছে, সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে নিজ বক্তব্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোন মন্তব্য করেননি গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটের প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল হোসেন। বক্তৃতা শেষে তিনি মাইক ছেড়ে চলে যাবার সময় মঞ্চ থেকে ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা ড. কামাল হোসেনকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানোর জন্য কানে কানে কথা বলেন। এর পর ড. কামাল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে অন্যান্য নেতা বক্তব্য রেখেছেন। তবুও আমি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। ড. কামালের কয়েক মিনিটের বক্তব্যে লুটপাট, জনগণের ঐক্যের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। কামাল হোসেনের বক্তব্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি না আসায় কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া আছে কিনা জানতে চাইলে জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের সাত দফা দাবির মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মুক্তির দাবিটি অন্যতম। এ নিয়ে কোন বিরোধ নেই। কামাল হোসেন বয়স্ক মানুষ, তাই হয়ত তিনি বিষয়টি নিয়ে বলতে ভুলে গেছেন। আমরা বিষয়টি মেনে নিয়েছি। এ নিয়ে আমরা কিছু মনে করিনি। অলির মন রক্ষা স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কৌশলী অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব) অলি আহমেদ। কখনও সরকারের মন জয় করতে পক্ষে কথা বলছেন। আবার কখনও বিরোধী রাজনীতিকদের সহনশীল হয়ে পথ চলার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ মন রক্ষার রাজনীতি শুরু করেছেন অলি। মঙ্গলবার নিজ দলের এক অনুষ্ঠানে বিরোধী দলগুলোকে আরও সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন লিবারেল এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমেদ। তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করে শুধু তারা একাই দেশ চালাবে, সেটা হবে না। দেশ পরিচালানায় প্রত্যেকের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু কোন্ দল দেশ পরিচালনা করবে, তার সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক জনগণ। সরকারকে আরও নমনীয় হতে হবে। তাছাড়া বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহশীলতার পরিচয় দেখাতে হবে। অলি আহমেদ বলেন, প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের প্রতি সাবধান বাণী উচ্চারণ করছি, যতদিন যাবে ততই বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত বাড়বে। মানুষ সৎ রাজনীতিবিদ ও জনগণের প্রতিনিধির মাধ্যমে সংসদ গঠন করতে চায় মন্তব্য করে অলি আহমেদ বলেন, মানুষের সেই আশা পূরণ হচ্ছে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সামনে যে লক্ষ্য ছিল, তা আজও পূরণ হয়নি। আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সবচেয় কঠিন সময় হলো ২০১৮ সাল। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবেও খুবই কঠিন পরিস্থিতি বাংলাদেশে। দেশে এমন কোন ব্যাংক নেই যেখানে তারল্য সঙ্কট নেই। অনেক ব্যাংক তাদের মূলধন পর্যন্ত দুর্নীতির মাধ্যমে পাচার করেছে। লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। রবের ডাকাত রহস্য স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাড়িতে বা গ্রামে ডাকাত! স্বাভাবিক কারণেই আতঙ্কিত হবার কথা। কেউ চিৎকার করবেন। কারও কান্নায় ভারি হয়ে উঠবে আকাশ। চারদিকে হইচই হবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মনে মনে যদি সব সময় ডাকাত আতঙ্ক থাকে, তখন সব সময় নিজে নিজেই ভয়ে চিৎকার করা স্বাভাবিক। আর প্রকৃত ডাকাত যেদিন আসবে তখন হয়ত আর কেউ চিৎকারে সাড়া দেবে না। যদি এমন হয়! কাউকে যদি সব সময় ডাকাত তাড়িয়ে বেড়ায় তাহলে এমন হওয়াটা অস্বাভাকি কিছু নয়। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব এখন ডাকাত আতঙ্কে আছেন। তবে তিনি একটি বাড়িতে ডাকাত দেখেন না। দেশজুড়ে ডাকাত দেখছেন। সত্যি। এ তো আরও ভয়ঙ্কর কথা। তিনি বলছেন, গোটা দেশই এখন ডাকাতের কবলে। এটা কি করে সম্ভব? এখন কি আর ডাকাতের যুগ আছে! থাকলে তা তো দেশজুড়ে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদি হয় তাহলে পুলিশ কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কথা। কিন্তু তা তো হচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন, বয়সের কারণে হয়ত চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে রবের। ভাল দেখছেন না। তাই উল্টাপাল্টা বলছেন। তবে দেশজুড়ে ডাকাতের কারণে কোন কান্নার রোল শুনতে পান কিনা তা তো বলেননি। যা হওয়ার কথা ছিল। কি জানি। তিনিই হয়ত ভাল জানেন। ডাকাত রহস্য তিনি ছাড়া হয়ত কেউ সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন না। দীর্ঘ সময় বাম রাজনীতি করেছেন রব। এবার পটপরিবর্তনের চেষ্টা। দল ঠিক থাকলেও হাত মিলিয়েছেন বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠন করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বড় কলেবরের রাজনৈতিক জোটে যোগ দিয়েই দেশে ডাকাত তত্ত্ব আবিষ্কার করলেন তিনি। বুধবার সিলেটে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি বলেছেন, দেশ ডাকাতের হাতে পড়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ের জন্য লড়তে হবে। রব বলেন, সবাই জানে দেশ ডাকাতের হাতে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামতে হবে। তবে সরকার উস্কানি দেবে। তাই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে। আরেকবার গায়ে হাত দিলে সবাই রাস্তায় নামবে। এ লড়াই বাঁচার লড়াই, ভোটের লড়াই, সুষ্ঠু নির্বাচনের লড়াই।
×