ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আদমদীঘিতে চাল সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আদমদীঘিতে চাল সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ২৬ সেপ্টেম্বর ॥ চলতি ইরি-বোরো চাল সংগ্রহ মৌসুমে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় পরিত্যক্ত চালকলের নামে বরাদ্দ দেয়া এবং চাল কেনার সময় ঘুষ বাণিজ্য করার অভিযোগ মিলেছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার এক সিএসডি এবং তিন এলএসডির মাধ্যমে মোট ২৫ হাজার ১শ’ ৭১ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। জানা গেছে, চাল কেনার জন্য চুক্তি করার সময় প্রতি চালকল মালিকের অনুকূলে বরাদ্দ করা চালের মোট মূল্যের আড়াই ভাগ এবং প্রতিটি বস্তার জন্য ৩০ টাকা হারে জামানত নেয় খাদ্য বিভাগ। চাল সংগ্রহ শেষে সেই জামানতের টাকা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে ফেরত নিতে হয় মালিকদের। জামানতের টাকা ফেরত নেয়ার সময়, চুক্তি মোতাবেক সব চাল দেয়া হয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্ট ক্রয় কেন্দ্র কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে প্রত্যয়নপত্র নেয়া বাধ্যতামূলক। এই প্রত্যয়নপত্র প্রদানের সময় করা হয় ঘুষ বাণিজ্য। এবারও প্রত্যায়নপত্র প্রদানের সময় ক্রয় কেন্দ্র প্রধানরা প্রতিটনের জন্য ৩ শত থেকে ৫ শত টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মিল মালিকদের। এছাড়াও মিল মালিকদের অভিযোগ যে, সংগ্রহের সময় মিলাররা ট্রাক যোগে চাল নিয়ে ক্রয় কেন্দ্রে আসার পর সেই চাল সরকারী বিনির্দেশ মোতাবেক আছে কি না তা যাচাইয়ের সময় প্রতি ট্রাক চালের জন্য ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে নিম্নমানের চাল সংগ্রহ করেন। এদিকে, খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আদমদীঘি উপজেলায় হাসকিং চালকলের সংখ্যা ২১৫টি হলেও এর মধ্যে প্রায় ৬০-৭০টি মিল পরিত্যক্ত। খাদ্য কর্মকর্তারা ঘুষের বিনিময়ে সেই সব পরিত্যক্ত মিলের নামেও বরাদ্দ দিয়েছেন। এ নিয়ে প্রকৃত মিল মালিকদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা গেছে। এ বিষয়ে সান্তাহার এলএসডি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবিরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মিলারদের নিকট থেকে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করেননি বলে দাবি করেছেন। তবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শাহেনশা হোসেন জানান ঘুষ নয়, ভাল মুনাফা হবার কারণে মিলাররা খুশি হয়ে ‘বখশিশ’ দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে আদমদীঘি চালকল মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু বলেন, সরকারী গুদামে চাল বিক্রি করতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা কর্মকর্তাদের দ্বারা ব্যাপক হয়রানির শিকার হয়। ফলে অনৈতিক লেনদেন করে থাকতে পারেন। তবে তার নিকট থেকে কর্মকর্তারা কোন টাকা নেয়নি বলে দাবি করেছেন।
×