ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওজিলের ব্যাপারে মুখ খুললেন লো

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৩১ আগস্ট ২০১৮

ওজিলের ব্যাপারে মুখ খুললেন লো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে মুখ খুলেছেন জোয়াকিম লো। তুর্কী বংশোদ্ভূত জার্মান মিডফিল্ডার মেসুত ওজিলের অবসরের সিদ্ধান্ত ‘হঠকারী’ বলে মন্তব্য করলেন জার্মানির এই অভিজ্ঞ কোচ। জার্মান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে বর্ণবাদের শিকার হয়ে গত মাসে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান ওজিল। এরপরই বিশ্ব গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচনায় উঠে আসে বিষয়টি। তবে এই সময়ে নীরব ছিলেন জার্মানির কোচ। প্রায় একমাস পর অবশেষে বুধবার মুখ খুলেছেন তিনি। এ সময় ওজিলের বিপক্ষে কোচ জোয়াকিম লো অভিযোগ করেন। অবসরগ্রহণ করার আগে তার সঙ্গে কেন যোগাযোগ করেননি আর্সেনালের এই মিডফিল্ডার। মেসুত ওজিলের যোগাযোগ না করা নিয়ে লো বলেন, ‘ওজিলের প্রতিনিধি আমাকে কল দিয়ে জানান, ওজিল আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। সে নিজে আমাকে ফোন করেনি। ওজিল অবসরের জন্য ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’ তার দাবি, ওজিলের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। জার্মান ফুটবলের এই অভিজ্ঞ কোচ বলেন, ‘আমি ফোন কল এবং বার্তা পাঠিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগোর চেষ্টা করেও তার নাগাল পাইনি।’ এ সময় লো সাফ জানিয়ে দেন যে, ‘আমাদের দলে কোন বর্ণবাদ নেই।’ ২০১৮ বিশ্বকাপে লজ্জাজনক পারফর্মেন্স উপহার দেয় জার্মানি। রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয় তারা। যা এযাবতকালের ইতিহাসে জার্মানির সবচেয়ে বাজে পারফর্মেন্স। বিশ্বকাপ থেকে এমন বিদায়ের পর কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন ওজিল। যে কারণেই বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায়ের পর ২২ জুলাই অবসরের সিদ্ধান্ত নেন মেসুত ওজিল। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘জার্মানির জার্সিতে মাঠে নামতে আমি আর আগ্রহী না।’ তবে ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছিল আরও আগে। লন্ডনের এক অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাত করার কারণে। সে সময় তার সঙ্গে ছবি তোলার পর মুখোমুখি হতে হয়েছে অনেক সমালোচনার। এরপর দেশটির ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা জার্মান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকেও অসম্মানজনক আচরণের শিকার হন আর্সেনালের এই তারকা ফুটবলার। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে ফ্রেমবন্দী হওয়া নিয়ে আর্সেনাল তারকা অবশ্য জানান, ‘ওই ছবির পেছনে কোন রাজনৈতিক কারণ ছিল না। আমার জন্মস্থানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি তুলেছি, আমার পূর্বপুরুষ আমার শেকড় ওই দেশেই। তাই আমি ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের চেয়ে দেশের প্রেসিডেন্ট পদটাকেই সম্মান দেখাতে চেয়েছি।’
×