ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁদো বাঙালী কাঁদো

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৫ আগস্ট ২০১৮

কাঁদো বাঙালী কাঁদো

অনন্য সংগ্রামী এক মহানায়ক তাহমিন হক ববী ॥ ভালবাসা, মানবিকতাবোধ, প্রাণশক্তি, বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা, দূরদর্শী চিন্তা, সাংগঠনিক ক্ষমতা আর নেতৃত্বের গুণাবলী দিয়ে তিনি মানুষকে মুগ্ধ করেছিলেন। স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়ে তিনি জাতির জনকের সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এ দেশের মানুষকে ভালবেসে তিনি উপাধি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু, জাতির জনক ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। মহাত্মা গান্ধীকে বাদ দিয়ে যেমন ভারতের ইতিহাস লেখা যায় না, মাও সেতুংকে বাদ দিয়ে চীনের, হো চি মিনকে বাদ দিয়ে ভিয়েতনামের ইতিহাস লেখা যায় না, জর্জ ওয়াশিংটনকে বাদ দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস লেখা যায় না, তেমনি বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা যায় না। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনঃগঠনে বঙ্গবন্ধু কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু আমাদের মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি তাকে সেই সময়টা দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ষড়যন্ত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শহীদ হন। কিন্তু স্বাধীনতাকামী বাঙালীর মাঝে আজও বঙ্গবন্ধু জাগ্রত, তিনি মরেন নাই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনন্য সংগ্রামী এক মহাজীবন। তার নামেই কিশোর বয়স থেকেই তিনি সংগ্রামের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে ধীরে ধীরে একজন নেতা হয়ে উঠছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে বঙ্গবন্ধু নেতা হননি, বন্দুকের নল ঠেকিয়ে কিংবা গায়ে উর্দি চাপিয়ে তাকে নেতৃত্ব লুট করে নিতে হয়নি। একটি সাধারণ পরিবারে জন্ম নিয়ে আপন মহিমায় শেখ মুজিব হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের এমন একজন বিরল নেতা- মহানায়ক। শিক্ষিত মননশীল সমাজ ভালভাবেই জানতেন যে, বঙ্গবন্ধুর স্থান বাংলাদেশ ও বাঙালীর ইতিহাসে নির্ধারিত হয়ে আছে। কেউ ইচ্ছে করলেই তাকে ইতিহাস থেকে নির্বাসিত করতে পারবে না। তিনি বাঙালী জাতিকে স্বাধীন রাষ্ট্র এনে দিয়েছেন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালীর আবাসভূমি বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুর সব খেতাবকে ছাড়িয়ে গেছেন এবং তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে আছে বিশ্বময়। বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে স্থান লাভ করেছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। এ ভাষণের অন্য নাম ‘বজ্রকণ্ঠ’। এ কণ্ঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল সমগ্র দুনিয়ার মুক্তিকামী মানুষকেও। তাই বিশ্বের বড় বড় জননেতাকেও ছাড়িয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত কাব্য, মহাকাব্য ও অন্যান্য সাহিত্য কিংবা প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও গবেষণা হয়েছে, দুনিয়ার আর কোন জননেতা স¤পর্কে হয়তো এত রচনা এখনও রচিত হয়নি। তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের মহিমা কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। তিনি তাই অনন্য, অসাধারণ এক ব্যক্তিত্ব। বিবিসির বাংলা সার্ভিসের জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এই জরিপের ফলে ব্যাপকভাবে আন্দোলিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আজকের নতুন প্রজন্ম ভাবছে। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস পড়ছে। অনেক শিশু বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করছে। শিশু জানছে “বঙ্গবন্ধু এক এবং অদ্বিতীয়”। ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমানকে উপাধি দেয়া হয়েছিল “বঙ্গবন্ধু”। বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ ছিল ছয় দফা। ছয় দফাকে সামনে নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের নাম মুছে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর “বাংলাদেশ” নামকরণ করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পল্টনের জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক ঘোষণা করা হয়েছিল। ৭১ এর ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে দেশ স্বাধীনতা পেলে “বাংলাদেশ” নামের একটি দেশের নবদিগন্তে জন্ম হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালী জাতি পায় নতুন দেশ “বাংলাদেশ”। ২০০৪ সালে ১৪ এপ্রিল। বিবিসি বাংলা সার্ভিসের শ্রোতা জরিপে বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী নির্বাচিত হন। ওই বছর ১১ ফেব্রুয়ারি থকে ২২ মার্চ পর্যন্ত বিবিসি ৩৩ দিন তাদের বাংলা সার্ভিসের অগণিত শ্রোতার মধ্যে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালীর ওপর জরিপ চালায়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাঙালীরা জনমত জরিপে অংশ নিয়েছেন। বিবিসি শ্রোতা জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী সন্তান হিসেবে প্রথমÑ শেখ মুজিবুর রহমান, ২য়- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ৩য়- কাজী নজরুল ইসলাম। ২০০৪ সালের ১৪ এপ্রিল, পয়লা বৈশাখের দিন বিবিসির প্রভাতি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী হিসেবে প্রচারিত হওয়ার পর বাংলার মানুষ আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে। বঙ্গবন্ধু কেন এক নম্বরে উঠে এসেছে এটা নিয়ে তখন বিএনপি, জায়ামাত অনেক নোংরা রাজনীতি করতে গিয়েও বারবার ব্যর্থ হয়েছে। বিবিসির জরিপে বঙ্গবন্ধুর নাম এক নম্বর উঠে আসায় আবারও প্রমাণিত হয়, ইতিহাসের সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না। তারা প্রশ্ন তুলেছিল রবীন্দ্রনাথ থাকতে, ফজলুল হক থাকতে বঙ্গবন্ধু প্রথম স্থানে কেমনে উঠে এলো? বঙ্গবন্ধু যে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী তার যুক্তিগুলো বিবিসির জরিপের শ্রোতারাই দিয়েছিল। দার্শনিক হেগেল, শেখ মুজিবকে নিয়ে বলেছিলেন, যে মহাপুরুষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ফেলতে পারেন তার কৃতিত্ব প্রায় ঐশ্বরিক, অলৌকিক ক্ষমতা ছাড়া রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই শ্রেষ্ঠতম কর্ম। শেখ মুজিব সেই কাজে সফল হয়েই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালীর পর্যায়ে উন্নীত হয়েছেন। সাহিত্য, সংস্কৃতি, দর্শন বা বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রেষ্ঠত্ব বা সংস্কারকের সাফল্য এর সঙ্গে তুলনীয় নয়, সে জন্যই তালিকার শীর্ষ নামটি তার। শেখ মুজিবকে কেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী হিসেবে মনোনীত করেছেন, সেকথা বলেছিলেন জাপানের নাগাসাকি শহর থেকে মনিকা রশিদ- আজ আমরা সারাবিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যে যেখানেই বসে যা কিছু করছি যা বলছি তার কোনটাই সম্ভব হতো না যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সময়টাতে না পেতাম। তিনিই বাঙালী জাতিকে প্রথম বোঝাতে সক্ষম হন যে, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি সর্বোপরি বাঙালী জাতি হিসেবে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইলে রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন হতে হবে। মৃত্যুভয় কখনই শেখ মুজিবকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ২৩ বছর ধরে পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে বাঙালীর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রণী এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ দিয়েছেন। অপূর্ণ জাতিসত্তাকে সুস্পষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্যে সময়োপযোগী কর্মসূচীর মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করার কাজটি করেছেন শেখ মুজিব। এই অবিসংবাদিত নেতাকে সামনে রেখে একাত্তরে আধুনিক মারণাস্ত্রসমৃদ্ধ দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধে নামতে দ্বিধা করেননি জাতি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতি পায় নির্দিষ্ট ভূখ-ের অধিকার। স্বাধীন রাষ্ট্রসত্তা পাওয়ায় পূর্ণতা আসে বাঙালী জাতির। দুঃখ-দৈন্যপীড়িত, দুর্দশাগ্রস্ত ও উপেক্ষিত-বঞ্চিত বাঙালী জাতিকে পূর্ণতার পথে এগিয়ে দেয়ার মহান নেতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ কারণেই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। . সেই ২২ সাহসীর কথা এখন কেউ স্মরণ করে না নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ১৪ আগস্ট ॥ ১৯৭৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ভৈরবে পালন করতে গিয়ে ২২ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে থানায় তাদের অমানুষিক নির্যাতন করে জেলে পাঠানো হয়। সেদিন আয়োজনকারীদের অপরাধ ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে মিলাদ পড়ানো। তারপর দীর্ঘদিন কারাভোগ করার পর পর্যায়ক্রমে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। সেই সাহসীদের কথা ভৈরবে এখন আর কেউ স্মরণ করে না। তাদের মধ্যে অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে দুঃখে- কষ্টে মারা গেছে। বঙ্গবন্ধুর ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী হিসেবে ৪২ বছর পর সেদিনটি আজ ফিরে এসেছে। সেদিনের গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান ফারুক জানান, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের পর ১৯৭৬ সালে সামরিক সরকারের ভয়ে তখন এদেশের গাছের পাতাও বঙ্গবন্ধুর নামটি উচ্চারণ করত না। কিন্তু আমরা ২২ জন সেদিন সাহসীকতার সঙ্গে প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে মিলাদের আয়োজন করেছিলাম। এখন আওয়ামী লীগের নেতারাসহ কেউ আমাদের কথা মনে করে না। প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসে নেতারা আমাদের নিমন্ত্রণ পর্যন্ত দেয় না। জানা গেছে আজ থেকে ৪২ বছর আগে ১৯৭৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের প্রথম শাহাদত বার্ষিকী পালন করতে ভৈরবে মিলাদের আয়োজন করা হয়। আয়োজককারীর নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম আক্কাছ ও ছাত্রলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান ফারুক। তৎকালীন হাজি আসমত কলেজের শহীদ আশুরন্জন ছাত্রাবাসে (বর্তমানে শৈবাল হোটেল) শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, কোরান খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হয় সেদিন। দুপুরের পর বিকেল সাড়ে ৩ টায় ১২ মৌলভী ছাত্রাবাসে এসে কোরান খতম শুরু করেন। বিকেল ৪ টার মধ্য একে একে ২২ নেতাকর্মী মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত হয়। নিমন্ত্রণের সময় ভৈরবের অনেকেই মিলাদে আসার কথা ছিল কিন্তু সামরিক সরকারের পুলিশের ভয়ে সেদিন অনেকেই উপস্থিত হয়নি। সেদিন যারা উপস্থিত হয়েছিল তারা হলো মুক্তিযোদ্ধা ও যুবলীগ নেতা ফখরুল আলম আক্কাছ (বর্তমানে ভৈরব পৌর মেয়র), আসাদুজ্জামান ফারুক (বর্তমানে সাংবাদিক), রুহুল আমিন, মাহাবুব (মৃত), মতিউর রহমান, মফিজুর রহমান, মোশারফ হোসেন জজমিয়া (মৃত), জিল্লুর রহমান জিল্লু (মৃত), আসাদ মিয়া (মৃত), আতাউর রহমান, আসাদুল হক শিশু, দীলিপ চন্দ্র সাহা ও তার ভাই দিপেন্দ্র চন্দ্র সাহা, ফজলুর রহমান (মৃত), আবদুল হামিদ, ইদ্রিছ মিয়া, মাহবুব আলম, রসরাজ সাহা, সুবল চন্দ্র কর (মৃত) , শাহজালাল হোসেন, আজমল ভূইয়া ও ফিরোজ মিয়া। মিলাদ শুরুর আগেই এ খবর পৌঁছে যায় সামরিক সরকারে উচ্চ মহল ঢাকায়। তাৎক্ষণিক ওয়ারলেস ম্যাসেজ পেয়ে ভৈরব থানার ৪০/৫০ পুলিশ ছাত্রাবাসটি ঘিরে ফেলে। সেদিন পুলিশ ছাত্রাবাসে প্রবেশ করেই মৌলানাদের কোরান খতম বন্ধ করে দিয়ে গালিগালাজ শুরু করে। লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে সবাইকে। এ সময় ফখরুল আলম আক্কাছ পুলিশের উপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে তাকে বেধরক পেটানো হয়। তখন পুলিশ বলল তোমরা সবাই এরেস্ট, কেউ পালাবার চেষ্টা করবে না। তারপর মৌলভীদেরসহ সবাইকে ভৈরব থানায় নেয়া হলো। থানায় নিয়ে সারারাত ২২ জনকে অমানুষিক নির্যাতন করা হলো। পরদিন ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কিশোরগঞ্জ মহকুমা আদালতে চালান দেয়া হলো। মৌলভীদের থানায় নেয়ার পর মুচলেকা রেখে (মুচলেকায় বলা হলো ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর কোন মিলাদ আয়োজনে তারা যাবে না) ছেড়ে দেয়া হলো। আদালত তাদের জামিন না দিয়ে সেদিন ২২ জনকেই কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। সেই সময় কারাগারে তাদের কয়েকজনকে ফাঁসির আসামির রুমে রাখা হয়। পরে ফখরুল আলম আক্কাছ প্রায় ১ বছর ও আসাদুজ্জামান ফারুক প্রায় ৬ মাস কারাগারে ছিল। অন্যরাও কয়েকমাস কারাবরণ করে। তারপর পর্যায়ক্রমে তারা জেল থেকে মুক্তি পায়। ২২ জনের মধ্য ইতোমধ্যই ৬ জন মৃত্যুবরণ করেছে। এখন ১৬ জন বেঁচে থাকলেও তাদের খবর কেউ রাখে না। তারা আজও অবহেলিত হয়ে দিনযাপন করছে। তাদের মধ্য কয়েকজন অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছে বলে তারা জানান। . কিশোরগঞ্জে মুজিব হত্যার প্রথম প্রতিবাদ মাজহার মান্না, কিশোরগঞ্জ ॥ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার আকস্মিকতায় গোটা জাতি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেও সেদিন নির্মম ও বর্বরতম এ হত্যাকান্ডের প্রথম প্রতিবাদ উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের জন্মস্থান কিশোরগঞ্জে। তৎকালীন কিশোরগঞ্জের প্রগতিশীল কয়েক সাহসী যুবক সেদিন প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলেন মুজিব হত্যার বদলা নিতে। বেতারে হত্যাকান্ডের খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে প্রগতিশীল কয়েক সাহসী যুবক-তরুণ শহরের গৌরাঙ্গবাজারে জেলা ছাত্র ইউনিয়ন অফিসে এসে জড়ো হয়। পরে তারা ছাত্র ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিলেন। মিছিলের স্লোগান ছিল ‘মুজিব হত্যার পরিণাম-বাংলা হবে ভিয়েতনাম’, ‘মুজিব হত্যার বদলা নেবো বাংলাদেশের মাটিতে’, ‘এক মুজিবের রক্ত থেকে লক্ষ মুজিব জন্ম নিবে’, ‘ডালিমের ঘোষণা মানি না-মানবো না’। . জয়ের জন্মদিন ছিল বঙ্গবন্ধুর শেষ পারিবারিক উৎসব বঙ্গবন্ধুর জীবনে শেষ পারিবারিক উৎসব ছিল ’৭৫-এর ২৭ জুলাই দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান। খুবই সাদামাটা এই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এদিন সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ছবি তোলেন। শিশু জয়ও সেদিন নানার টুপি মাথায় নিয়ে পোজ দেন। এদিনটিই যে তাদের পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে আনন্দ উদযাপনের শেষ দিন তা কি কেউ কল্পনাও করেছিল! জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন সেদিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, জুলাই মাসজুড়েই বঙ্গবন্ধু পরিবারে ছিল উৎসব। ২৭ জুলাই বড় মেয়ে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনের সাদামাটা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুও উপস্থিত ছিলেন। তার দু’দিন পর ৩০ জুলাই শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নিয়ে জার্মানির উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। সেদিন শেখ হাসিনা অনেক অনিচ্ছাসত্ত্বেও স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থলে চলে যেতে বাধ্য হন। ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই পারিবারিকভাবে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দবির উদ্দিন আহমেদের ছোট মেয়ে সুলতানা আহমেদ খুকুর বিয়ে হয়। বিয়েতে যেসব মূল্যবান উপহার পাওয়া গিয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রত্যক্ষ সহায়তায় তার প্রায় সবই সরকারী তোষাখানায় জমা দেয়া হয়। শেখ কামালের বিয়ের ৩ দিন পর ১৭ জুলাই এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ফুফাত বোন সৈয়দ হোসেনের মেয়ে রোজির সঙ্গে শেখ জামালের বিয়ে হয়। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই সব কিছু কেমন স্তব্ধ হয়ে যায়। কুচক্রীদের নির্মম বুলেট গুড়িয়ে দেয় জাতির জনকের সাধের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। চুরমার হয়ে যায় শেখ কামাল ও শেখ জামালের নতুন সংসার। নব পরিণীতা দুই বধূর মেহেদীর রং মিশে যায় রক্তস্রোতে। চিরতরে হারিয়ে যায় শেখ রাসেলের কচিকণ্ঠের আর্তনাদ। গভীর এক অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় সমগ্র জাতি। মাহফুজা জেসমিন, বাসস . বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন। সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালী শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে। ভারত বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বাঙালীদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, বাঙালী জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে। ‘দ্য টাইমস অব লন্ডন’ এর ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয় ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ তাকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই। একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকা-কে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের রায় কার্যকর করে জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। একইভাবে বাঙালীর আত্মঘাতী চরিত্রের অপবাদেরও অবসান ঘটেছে। টেলিগ্রাফ পত্রিকার মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পত্রিকাটি সেদিন সুদূরপ্রসারী মন্তব্য করেছিল। দেশের মানুষ এখন অনুধাবন করতে পারে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করে দেশে পাকিস্তানী ভাবধারা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এবং দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। . বরিশালে ৩২ নম্বর বাড়ির প্রতিকৃতি খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের স্মৃতিবিজড়িত বাসভবন অর্থাৎ ধানম-ির ৩২ নম্বরের বাড়ির আদলে একটি প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে বরিশাল নগরীতে। আর সেই বাড়ির সামনে বেশ কিছু প্ল্যাকার্ডে ‘কাঁদো বাঙালি কাঁদো’, ‘রক্তে ভেজা সিক্ত মাটি বিবর্ণ এই ঘাস, বুকের মাঝে রাখা আছে বঙ্গবন্ধুর লাশ’Ñ এ ধরনের লেখা বা উক্তি শোভা পাচ্ছে। এখান থেকেই মাইকে বেজে উঠছে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। বরিশাল ‘ল’ কলেজের সাবেক ভিপি এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের উদ্যোগে নগরীর নাজিরেরপুল এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ধানম-ি ৩২ নম্বরের বাড়ির আদলে নির্মিত প্রতিকৃতি স্ব-চক্ষে দেখতে সর্বস্তরের মানুষ ভিড় করছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ ব্যতিক্রর্মী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ১৫ আগস্ট ভয়াল কালরাতে স্বজন হারানো বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ সর্বস্তরের নগরবাসী। এছাড়াও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নগরীসহ জেলার দশ উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের জেলার প্রবেশদ্বার গৌরনদীর ভূরঘাটা বাসটার্মিনাল পর্যন্ত শত শত কালো রঙের তোরণ, ব্যানার-পোস্টার আর নিশানে ছেয়ে গেছে গোটা বরিশাল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণস্থানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অর্ধশতাধিক শোকের তোরণ নির্মাণ করেছেন গৌরনদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী। সূত্রমতে, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ড, বাসস্ট্যান্ড, মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে একটি করে শোক তোরণ তৈরি করেছেন নেতাকর্মীরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে লাগানো হয়েছে শোক দিবসের পোস্টার, কেউ কেউ নিজের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি শোক দিবসের তাৎপর্যমূলক বিভিন্ন উক্তি বা কথা তুলে ধরেছেন ব্যানার, পোস্টার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মাসব্যাপী কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ ১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা, মহানগর, উপজেলা এবং ওয়ার্ডের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালোপতাকা উত্তোলন করা হবে। সবপর্যায়ের নেতাকর্মীরা কালোব্যাজ ধারণ করবেন। শোকের মাসের শুরু থেকে দলীয় কার্যালয়ে চলছে কোরানখানি। আজ সকাল নয়টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের শ্রদ্ধামঞ্চে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয় থেকে শোক র‌্যািল বের করা হবে। এছাড়া ওয়ার্ডের প্রতিটি মসজিদে জোহর নামাজের পর ১৫ আগস্ট ভয়াল কালরাতে বঙ্গবন্ধুসহ সব শহীদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মাইকযোগে কোরানখানি ও কাঙালীভোজের আয়োজন করা হয়েছে। দলীয় কর্মসূচীর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে শোক দিবস পালনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। . বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১৪ আগস্ট ॥ রংপুর রেঞ্জের নবাগত ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য সোমবার গাইবান্ধায় আগমন উপলক্ষে জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল, জেলার সর্বস্তরের সুধীবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভা। এছাড়া পুলিশের বিশেষ মাসিক কল্যাণ সভা ও ক্রাইম কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া সকল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহিফল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি, বিশেষ অতিথি ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য অংশ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ জেলার সকল উর্ধতন কর্মকর্তা, ৭টি থানার অফিসার ইনচার্জসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার ৩শ’ পুলিশ সদস্য অংশ নেন।
×