ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নেপালকে হারিয়ে গ্রুপসেরা হতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৩ আগস্ট ২০১৮

নেপালকে হারিয়ে গ্রুপসেরা হতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

জাহিদুল আলম জয় ॥ আগের চেয়ে আরও বেশি অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের মেয়েরা। কয়েক বছর ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে নিকট ভবিষ্যতে মেয়েদের অনুর্ধ পর্যায়ের বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছেন মেয়েরা। এ লক্ষ্যে কক্ষপথেই আছে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। ভুটানে চলমান সাফ অনুর্ধ-১৫ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই শক্তির জানান দিয়েছে বাংলার মেয়েরা। পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে শামসুন্নাহার, তহুরারা। এরপর শনিবার নেপালের কাছে পাকিস্তান হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ ও নেপালের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে এক ম্যাচ হাতে থাকতে। বিদায় নিয়েছে পাকি মেয়েরা। এখন ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ ও নেপাল শেষ গ্রুপ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। এই ম্যাচে বাংলাদেশ ড্র করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। গ্রুপসেরা হতে হলে নেপালের জয়ের বিকল্প নেই। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলেও বাংলার কিশোরীরা কিছুতেই ম্যাচটিতে ছাড় দিতে রাজি নয়। নকআউট পর্ব শুরুর আগে নেপালকেও হারাতে চান তহুরা, আঁখিরা। আর জয় পেতে আত্মবিশ্বাসী পুরো দল। আগের দুইদিনের মতো রবিবারও বাংলাদেশ দল কয়েকটি ধাপে অনুশীলন করেছে। অনুশীলনে সবাইকে প্রাণবন্ত দেখা গেছে। দলের প্রতিটি সদস্যই জয় পেতে আত্মবিশ্বাসের কথা শুনিয়েছেন। প্রতিপক্ষ নেপালও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশকে সম্মান ও সমীহ করছে। পাকিস্তানীদের রীতিমতো উড়িয়ে দেয়া এবং সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলেও গ্রুপের শেষ ম্যাচ নিয়ে সিরিয়াস বাংলাদেশের মেয়েরা। কোচ ছোটন ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি মেয়েদের তরতাজা রাখতে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। আগেরদিন বাংলাদেশের মেয়েরা পাকিস্তান ও নেপালের ম্যাচটি দেখেছে। ম্যাচটি দেখার পর দলের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। প্রতিটি ফুটবলারের মধ্যে দারুণ স্পিরিট বজায় আছে। পাশাপাশি দলে কোন ইনজুরি সমস্যা নেই। ভুটানের আবহওয়ার সঙ্গেও মানিয়ে নিয়েছে মারিয়া, মনিকারা। বরাবরের মতো দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। নেপাল ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, দলের অনুশীলন ভাল হয়েছে। টিম স্পিরিটও দুর্দান্ত। সবাই শতভাগ ফিট ম্যাচ খেলতে। সবার মনে একটাই চাওয়া, জিততে হবে। আমরা জয় ছাড়া কিছুই ভাবছি না। স্ট্রাইকার তহুরা খাতুন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা তারকা। আক্রমণভাগে দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা বজায় রেখে খেলে চলেছেন এই কিশোরী। গত বছর এই আসরে নেপালের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করার স্মৃতি স্মরণ করে তহুরা বলেন, আমি গত সাফে নেপালের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলাম। এ বছর প্রথম ম্যাচে দুই গোল করেছি। এই ম্যাচেও গোল করে বাংলাদেশের জয়ে অবদান রাখতে চায়। তবে নেপাল পাকিস্তানের চেয়ে ভাল দল। দলটিতে বেশ কয়েকজন ভাল ফুটবলার আছে। ডিফেন্ডার আনাই মগিনি বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেপালের ম্যাচটি দেখেছি। সেখানে আমরা নেপালের অনেক সমস্যা বুঝতে পেরেছি। এখন আমরা তাদের বিরুদ্ধে খেলব নিজেদের সেরাটা দিয়েই। আমরা জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। এবং এর মধ্য দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। ম্যাচটি নিয়ে বাংলাদেশে অধিনায়ক মারিয়া মান্দা বলেন, নেপালের বিপক্ষে আমরা আরও ভাল ফুটবল উপহার দিতে চাই। ছোটন স্যার আমাদের অনেক নতুন টেকনিক শিখিয়েছেন। যেগুলো আমাদের এই সাফে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেগুলো আমরা এখন কাজে লাগাতে পারছি। সহঅধিনায়িক আঁখি খাতুন বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতেছি। সেটি এখন আমরা মাথায় রাখছি না। এখন আমরা নেপালের বিরুদ্ধে যে ম্যাচটা আছে সেটি নিয়ে চিন্তা করছি। দলটির সঙ্গে আমরা আগেও খেলেছি। আমরা চেষ্টা করব পাকিস্তানের ম্যাচ থেকে এই ম্যাচে আরও ভাল খেলার। ফিনিশিং ভাল করা ও গোল আরও বাড়াতে। প্রতিপক্ষ নেপাল সবদিক দিয়েই বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন দলটির কোচও। নেপাল কোচ বলেন, বাংলাদেশ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। দলটি অত্যন্ত শক্তিশালী। প্রতিটি পজিশনই ব্যালেন্সড। তবে আমাদেরও বেশ কিছু ভাল খেলোয়াড় আছে। জয়ের জন্যই খেলবে আমার দল।
×