ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

ছাত্রী উত্ত্যক্তের জের ॥ হবিগঞ্জে কলেজ অধ্যক্ষকে ছুরিকাঘাত

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১৮ জুলাই ২০১৮

ছাত্রী উত্ত্যক্তের জের ॥ হবিগঞ্জে কলেজ অধ্যক্ষকে ছুরিকাঘাত

রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, হবিগঞ্জ থেকে ॥ ছাত্রী উত্ত্যক্ত, অভিযোগ দায়ের করা নিয়ে এক বখাটের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন নবীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম হোসেন আজাদ। একই সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে ফয়জুর নামে এক দফতরিসহ চৈতি নামে এক শিক্ষার্থীও আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে সংঘটিত এ ঘটনায় গলায় ও হাতে ছুরিকাঘাতে আহত অধ্যক্ষ আজাদ ও দফতরি ফয়জুরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে যেমন উত্তেজনা চলছে, তেমনি ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মূল হোতা দিপন আহমেদ মুন্না পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও অন্যতম সহযোগী হুমায়ূন কবীরকে জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এদিকে ওই ঘটনার পরপরই বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নবীগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় তারা অন্তত ২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে এবং দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশকে ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচী স্থগিত করে। সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষার্থী-শিক্ষকগণ জানান, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার মদনপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুজ্জামান ফারুকির পুত্র দিপন আহমেদ মুন্না প্রতিনিয়ত সংশ্লিষ্ট কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করত। এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার সকালে মুন্না উক্ত কলেজে প্রবেশ করেই ২য় বর্ষের জনৈকা ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন এবং তার সঙ্গে জোরপূর্বক সেলফি তুলতে চাইলে সে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে এই ছাত্রী কলেজ অধ্যক্ষ আজাদের নিকট ঘটনা অবহিত করলে তিনি মুন্নার ওপর ক্ষুব্ধ হন এবং তাকে কঠোরভাবে শাসিয়ে সর্তক করে দেন। এ ঘটনা মুন্নার পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে তা সমাধান করেন। কিন্তু মুন্না তা মেনে নিতে না পেরে তার সহযোগী একদল সশস্ত্র বখাটে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কলেজে প্রবেশ করেই পরীক্ষার হলে পরিদর্শনরত অধ্যক্ষ আজাদের গলায় ও হাতে সজোরে ছুরিকাঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে যেতে দেখে দফতরি ফয়জুর রহমান এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এসময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পরীক্ষার্থী ও অন্য শিক্ষার্থীরা দৌড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টাকালে চৈতি নামে এক ছাত্রীও গুরুতর আহত হয়। তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
×