ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিভাবকহীন রুয়েট ॥ আটকে আছে কার্যক্রম

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ১৬ জুলাই ২০১৮

  অভিভাবকহীন রুয়েট ॥ আটকে আছে কার্যক্রম

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী/ রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৮ মে। মেয়াদ শেষের ৪৮ দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ ছাড়া গত সাড়ে চার বছর ধরে শূন্য রয়েছে উপ-উপাচার্যের পদটিও। শীর্ষ এই দুই পদ শূন্য থাকায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতার সৃষ্টি হয়েছে। রুয়েট রেজিস্ট্রার দফতর জানায়, ২০১৪ সালের ২৮ মে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগকে রুয়েটের ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। গত ২৮ মে তার দায়িত্ব শেষ হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর অধ্যাপক মর্ত্তুজা আলী উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব শেষ করার পর থেকেই পদটি শূন্য হয়ে আছে। উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে স্থবিরতার বিষয়টি জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হলেও এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এদিকে রুয়েট ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বহিরাগত-ছাত্রলীগের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাসে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সম্প্রতি আবার ক্যাম্পাসের ভেতরে রুয়েটের বাস চালককে হত্যার ঘটনা ঘটে। বর্তমান অভিভাবকহীন অবস্থায় ফের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, দেড় মাস ধরে উপাচার্য না থাকায় একাডেমিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মধ্যে কোন্দল আছে। মাঝে মাঝে বহিরাগতরা এসে ঝামেলা করে। তাছাড়া ক্যাম্পাসে একটা খুনও হয়েছে। এসব নিয়ে আতঙ্কে আছি। এর মধ্যে যদি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে এর দায় কে নেবে? রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. নীরেন্দ্রনাথ মুস্তাফী বলেন, রুয়েটের মতো ছোট ক্যাম্পাসে সকল কার্যক্রমের নির্বাহী প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাকে ছাড়া কোন কাজ করা সম্ভব নয়। তাই উপাচার্যের অতিসত্বর নিয়োগ হওয়া প্রয়োজন। আশা করব, সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। রুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, জরুরী কাজগুলো করতে পদাধিকার বলে আমাকে দায়িত্ব দেয়া আছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। অনুমোদনের অপেক্ষায় আটকে আছে অনেক কার্যক্রম। তাছাড়া উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই আমরা লিখিতভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে বিষয়টি অবগত করেছি। তাদের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও করা হয়েছে। তবে এখনও কোন সাড়া মেলেনি।
×