ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে সাড়ে ৪ হাজার এইচআইভি রোগি, মারা গেছেন ৯২৪ জন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ২৭ জুন ২০১৮

দেশে সাড়ে ৪ হাজার এইচআইভি রোগি, মারা গেছেন ৯২৪ জন  : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী দেশে এইচআইভি পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার ৫৮৬ জন। এদের মধ্যে ৯২৪ জন মারা গেছে। অবশিষ্ট ৪ হাজার ৬৬২ জন রোগী এখন্ও দেশে বসবাস করছেন। এসকল এইডস রোগীদের মধ্যে আবার ৬৩ জনই রোহিঙ্গা। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সংসদে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এইচআইভি সংক্রান্ত সেবাগুলো বিভিন্ন এনজিও, ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল উভয় সংস্থার মাধ্যমে দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিনামূল্যে সেবা প্রদান করছে। সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে এইচআইভি পরীক্ষা, রোগীদের বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ এবং কাউন্সিলিং। মন্ত্রী জানান, আগামীতে ২৩টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত এইচআইভি পরীক্ষা কেন্দ্র (এইচটিসি) স্থাপন করা হবে। ক্যাম্পভিত্তিক স্বাস্থ্যের সুবিধা নিয়মিত করা হবে। এইডস সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় মৌলিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এইচআইভি পরীক্ষার কিট সরবরাহ করা হবে। এছাড়া উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এআরটি রেফারেল সেন্টার স্থাপন করা হবে। আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর শাওনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার উন্নয়ন চিকিৎসা গ্রহণের কারণে বিদেশ গমনের প্রবণতা হ্রাস করে এবং দেশীয় আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮৫১টি। তন্মোধ্য এ্যালোপ্যাথিক ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২২৬টি, ইউনানি ২৬৭টি, আয়ুর্ব্বেদ ২০৭টি, হোমিওপ্যাথিক ৭৯টি ও হার্বাল ৩২টি রয়েছে। তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি গাইড লাইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় এবং মানবহির্ভুত ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ পর্যন্ত ৮৬টি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল এবং ১৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
×