ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাগডোগরা-ঢাকা বিমান চলাচলে আগ্রহী বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ২৭ জুন ২০১৮

বাগডোগরা-ঢাকা বিমান চলাচলে আগ্রহী বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক ॥ দার্জিলিংসহ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের সাথে যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবার বাগডোগরা-ঢাকা বিমান চলাচল চালুতে আগ্রহী বাংলাদেশ। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং প্রেস ক্লাবে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে এই কথা জানান ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ থেকে বাগডোগরা পর্যন্ত বিমান সেবা চালু করার পাশাপাশি শিলিগুড়িতে ভিসা অফিস চালু করার পক্ষে।এর ফলে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিই নয়, এই অঞ্চলের মানুষের পক্ষে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাকি দেশগুলিতে যাতায়াত করাও অনেক সহজতর হবে। বর্তমানে বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রথমে কলকাতা এবং তারপর বাগডোগরা কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি যেতে হয়। ভারতের উত্তরবঙ্গের মানুষদেরও বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য কলকাতায় গিয়ে বাংলাদেশি ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। শিলিগুড়িতে যদি একবার ভিসা প্রদান কেন্দ্র চালু হয় সেক্ষেত্রে এখান থেকেই ট্রাভেল সম্পর্কিত সমস্ত প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। এই মুহূর্ত বাগডোগরা থেকে একটিই মাত্র আন্তর্জাতিক উড়ান চলাচল করে-সেটি হল ভুটান এয়ারলাইন্সের বিমান। বাংলাদেশ হাইকমিশনার জানান, উত্তরপূর্ব ভারতের সাথে বাণির্জিক সম্পর্ক মজবুত করতে বাংলাদেশ সরকার আগামী বছরের মাঝামাঝি গোয়াহাটি পর্যন্ত বিমান সেবা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে। এরপরই বাংলাদেশ-শিলিগুড়ি বিমান পরিষেবা চালুর প্রস্তাব নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। আলি বলেন, বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের মধ্যে মোটর ভেহিকল এগ্রিমেন্ট (এমভিএ) চুক্তির আওতাধীন এই দেশগুলির মধ্যে ট্রাক ও যান চলাচল বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে বাণিজ্য সুবিধার জন্য শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের সাথে আমাদের কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে এবং এই অঞ্চলে বিমান সেবা চালু করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যেই বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থার সাথে কথা বলেছি এবং তারা বাংলাদেশ-বাগডোগরা বিমান চালুর ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক কার্যকারিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। যদিও সূত্রে খবর দিনের ব্যস্ততম সময়ে আর কোন বিমান চাইছে না বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কারণ যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও বিমানবন্দর টার্মিনালের এলাকা না বাড়ায় যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য তলানিতে এসে ঠেকেছে বলেই খবর। ফলে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভও বাড়ছে। বাগডোগরার ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর এস.কে.পোদ্দার জানান, ব্যস্ত সময়ে যাতে আর কোন বিমান এখান থেকে চালু না হয়, তা দেখতে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে অন্য সময়ে বিমান দিয়ে সেক্ষেত্রে কোন অসুবিধা নেই। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার আঞ্চলিক কার্যনির্বাহী পরিচালক (পূর্বাঞ্চল) কে.এর.শর্মা জানান, সব বিষয়টি খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কানেকটিভিটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া আটটি রেল পথের মধ্যে ছয়টি পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাকি দুইটি রেল পথও চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
×