ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গাবালীতে জলাবদ্ধতা ॥ আমন চাষে শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ২৫ জুন ২০১৮

রাঙ্গাবালীতে জলাবদ্ধতা ॥  আমন চাষে শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরবেস্টিন গ্রামে ৪ হাজার একর কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলতি মৌসুমে আমন চাষ ব্যাহতের শঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষকরা। পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় স্লুইসগেট কিংবা কালভার্ট না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, চরবেস্টিন গ্রামে দূর থেকে কৃষি জমি কিনা দেখে বোঝার উপায় নেই। কোথাও হাঁটু সমান, আবার কোথাও কোমর সমান পানি জমে আছে। গত দুই সপ্তাহে কয়েক দফা ভারি বর্ষণে চরবেস্টিন গ্রামে এমন জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে আমন চাষের আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করতে না পারায় পাঁচ শতাধিক কৃষক চরম বিপাকে পড়েছে। চরবেস্টিন গ্রামের কৃষক জলিল কাজী জানান, এবার তিনি ১০ একর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করতে চান। কিন্তু দিন পনেরো ধরে ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এখনও বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। পানি নিষ্কাশনের জন্য স্লুইসগেট কিংবা কালভার্ট না থাকায় ক্ষেত থেকে পানি নামছে না। একই গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন জানান, চরবেস্টিনে প্রায় ৪ হাজার একর জমিতে আমন চাষাবাদ করা হয়। কিন্তু সে জমিতে এখন কেবল পানি আর পানি। পানি নামার জন্য একটি কালভার্ট থাকলেও স্থানীয় কিছু লোক তা বন্ধ করে ঘের করেছে। এখন বীজতলা করতে না পারলে জমিতে ধান চাষ করা যাবে না। চরমোন্তাজ ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জুয়েল বলেন, আগামী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে বীজতলা করতে হবে। তা নাহলে আর বীজ করা যাবে না। চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া বলেন, নতুন বেড়িবাঁধ হওয়ায় আগের সরকারী কালভার্টগুলো নেই। ব্যক্তি মালিকানাধীন কালভার্ট দিয়ে ঘের মালিকরা ইচ্ছেমতো পানি ওঠানামা করায়। যে কারণে অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়েছে। তারপরও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে কিছু করা যায় কিনা, চেষ্টা করা হবে।
×