ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে কর্মকর্তাদের পেটে দুস্থদের চাল

প্রকাশিত: ০৭:০২, ২৪ জুন ২০১৮

বরিশালে কর্মকর্তাদের পেটে দুস্থদের চাল

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে সাধারণ রিলিফের (জিআর) বরাদ্দকৃত অসহায় ও দুস্থ পরিবারের জন্য বরাদ্দ চালের মধ্যে সাড়ে আট টন চাল গৌরনদী উপজেলার কতিপয় সরকারী কর্মকর্তা ভাগবাটোয়া করে নিয়েছেন। জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে গৌরনদীর সাতটি ইউনিয়নের এক হাজার ৩৩৩ হতদরিদ্রে পরিবারের জন্য ৩০কেজি করে সাধারণ রিলিফ (জিআর) হিসেবে ৪০ মেট্রিক টন খয়রাতির চাল বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়। স্থানীয় এমপি সাতটি ইউনিয়নের তালিকা অনুমোদন করেন। উপজেলা প্রকল্প অধিদফতর ঈদের আগের দিন এক হাজার ৩৩ দুস্থ পরিবারের মধ্যে ৩০ কেজি করে ৩১ টন চাল বিতরণ করেন। ওই দিন তিনশ’ পরিবার অনুপস্থিত থাকায় তাদের নামে বরাদ্দ নয় টন চাল (১৮০ বস্তা) উপজেলা হলরুমে (অস্থায়ী গোডাউন) রাখা হয়। ঈদের পরে ওই চাল বিতরণের কথা ছিল। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগী পরিবারের লোকজন চাল নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হলে অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের নামের বরাদ্দ চাল অন্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তালিকাভুক্তরা চাল না পেয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, অনুপস্থিত তিনশ’ পরিবারের চাল অন্য কাউকে দেয়া হয়নি। ওই নয় টন (১৮০বস্তা) চাল উপজেলা পরিষদের হলরুমের অস্থায়ী গোডাউনে রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে আট টন (১৭০ বস্তা) চাল কয়েক সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রভাবশালী ভাগাবাটোয়ারা করে নিয়েছেন। সরিকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক মোল্লা বলেন, ঈদের আগেরদিন চাল আনতে না পারায় আমার ইউনিয়নের ২৫ পরিবার ওই চাল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। খাঞ্জাপুর ইউপির চেয়ারম্যান নুর আলম সেরনিয়াবাত বলেন, আমার ইউনিয়নে ২০টি পরিবার চাল আনতে গিয়ে না পেয়ে ফিরে এসেছে। চাল না দেয়াকে কেন্দ্র করে আমার পরিষদের সদস্য কবির হোসেনের সঙ্গে কর্মকর্তাদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। একই অভিযোগ করেন নলচিড়া ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন বলেন, জিআরের চাল বিতরণে অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×