ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে সচল তিন রুট

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৬ জুন ২০১৮

বরিশালে সচল তিন রুট

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ আসন্ন ঈদ-উল ফিতরে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা নদীবেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের প্রতিবছর একমাত্র ভরসাই থাকতো নৌ-রুটের লঞ্চের ওপর। লোকসানের অজুহাতে দীর্ঘদিন আকাশ পথের বিমান ছিল বন্ধ। অতীতে খানাখন্দের কারণে সড়ক পথে মানুষের চাপ কমাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেই নৌ-পথের ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হতো। ফলে লঞ্চযাত্রীদের থাকতে হতো দালালদের কাছে জিম্মি। যাত্রীদের অগ্রিম টিকিট দালালদের হাত ঘুরে চলে যেত কালোবাজারে। সরকারের সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সাহসী উদ্যোগে এক সময় লোকসানের অজুহাতে বন্ধ হয়ে যাওয়া আকাশ পথে ঢাকা-বরিশাল রুটে সরকারী ও বেসরকারী কোম্পানির বিমান লভ্যাংশের মধ্যদিয়ে চলাচল করছে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দক্ষিণাঞ্চলে একাধিকবার সফর করেছেন। পর্যায়ক্রমে খানাখন্দের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুইপাশ বর্ধিতকরণের মাধ্যমে ফিরে পেয়েছে সফলতা। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের অসংখ্যবার সফরের মধ্যদিয়ে বর্তমান সরকারের সময় বরিশালে আধুনিক নৌবন্দর থেকে শুরু করে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ-রুটে ফিরে এসেছে জৌলুস। একে একে নৌরুটে যোগ হয়েছে সরকারী এবং বেসরকারী কোম্পানির বিলাসবহুল জাহাজ ও লঞ্চ। ফলে এখন আর ঈদে ঘরে ফেরা দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের কেবল লঞ্চের ওপর ভরসা করে থাকতে হচ্ছে না। নৌ-রুট, আকাশ এবং সড়কপথ সচল থাকায় এবারই কেবল কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই নিরাপদ ও আরামদায়ক অবস্থায় ঈদে নাড়ির টানে শিকড়ের কাছে আসা দক্ষিণাঞ্চলের লাখো যাত্রীরা যাতায়াত করতে যাচ্ছেন। ৩০ লঞ্চ ও ৬ রকেট ॥ ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা দক্ষিণাঞ্চলের লাখো যাত্রীদের সুবিধার্থে সবচেয়ে বেশি বিলাসবহুল লঞ্চ ও জাহাজ যুক্ত হচ্ছে। ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে এবারের ঈদে বেসরকারী কোম্পানির নিয়মিত লঞ্চসহ মোট ৩০টি লঞ্চ সরাসরি ঢাকা-বরিশাল রুটে যাত্রী পরিবহন করবে। এর মধ্যে দিবা সার্ভিসে গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজের পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ক্যাটামেরিন এ্যাডভেঞ্চার-৫ এ রুটে যাত্রী পরিবহন করবে। অন্যান্য বছরগুলোতে দুটি ঈদের সময় দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষ নাড়ির টানে রাজধানী ঢাকা থেকে বরিশাল ও আশপাশের জেলায় পৌঁছতে নৌপথে ঝুঁকি নিয়ে ফিরতেন। বিগত দিনে যাত্রীদের ভোগান্তির অভিজ্ঞতা থেকে এবারই সর্বপ্রথম ঈদ উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি অত্যাধুনিক লঞ্চ ও জাহাজ চলাচলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২৮টি নৌরুটের মধ্যে ঢাকা-বরিশাল নৌপথকে নিরাপদ হিসেবেই ধরা হয়ে থাকে। যে কারণে এ অঞ্চলের মানুষ লঞ্চেই যাতায়াত বেশি করায় ঈদ মৌসুমে যাত্রী চাপ বেশি থাকে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইতোমধ্যে অসংখ্য বিলাসবহুল বৃহৎ আকারের লঞ্চ যুক্ত করা হয়েছে এ রুটের নৌ-বহরে। নৌরুটে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক এ্যাডভেঞ্চার ॥ ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রী পরিবহনে পূর্বের এ্যাডভেঞ্চার-১’র পাশাপাশি এ্যাডভেঞ্চার-৯ ও দিবা সার্ভিসে নবনির্মিত ক্যাটামেরিন এ্যাডভেঞ্চার-৫ যুক্ত হচ্ছে। লিফটযুক্ত তিনতলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক বিলাসবহুল যাত্রীবাহী লঞ্চ এ্যাডভেঞ্চার-৯-এ লিফট ছাড়াও পে-গ্রাউন্ড, ফুড কোর্ট এরিয়া ও চিকিৎসা সুবিধার পাশপাশি ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়াইফাই সুবিধা থাকছে। এছাড়াও দিবা সার্ভিসে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ক্যাটামেরিন এ্যাডভেঞ্চার-৫। বিশ্বমানের এ জাহাজ দুইটি বরিশালের কীর্তনখোলার পশ্চিম তীরে এ্যাডভেঞ্চার শিপ বিল্ডার্সে নির্মিত হয়েছে। এ্যাডভেঞ্চার শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এফবিসিসিআই’র পরিচালক মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান, বিলাসবহুল লঞ্চটি ৭ জুন ঢাকা সদরঘাট থেকে প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেবে। ঈদের আগে যাত্রী পরিবহনে বিলাসবহুল এ লঞ্চটি যুক্ত হওয়ায় এবার ঘরমুখী দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের অনেকটা আরামদায়ক ভ্রমণ হবে। যাত্রী সাধারণের জন্য লঞ্চটিতে ২৫০ টাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণীতে সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। লঞ্চটি নির্মাণের সময় যাত্রী ও নৌযানের নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রথম শ্রেণীর কেবিনগুলো বানানো হয়েছে বিলাসবহুল আবাসিক তিন তারকা হোটেলের আদলে। ব্যয়বহুল ও দৃষ্টিনন্দন আসবাবপত্রে সাজানো রয়েছে প্রতিটি কক্ষ। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার সমন্বয়ে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের নিরাপদ ও বিলাসবহুল সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৩১০ ফুট দৈর্ঘের এ নৌযানটির প্রস্থ ৫০ ফুট। যাত্রীদের জন্য রয়েছে দুই শতাধিক প্রথম শ্রেণীর কেবিন, আটটি ভিআইপি, ছয়টি ফ্যামিলি কেবিন ও ২৫টি সোফা বা বিলাস আসন। নৌযানটির যাত্রী নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। জার্মানির তৈরি ৩২শ’ অশ্বশক্তির দুটি মূল ইঞ্জিন ছাড়াও হুইল হাউসে (চালকের কক্ষ) সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হয়েছে। এর রাডার সুকান ‘ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক’ ও ম্যানুয়াল দ্বৈত পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি জিপিএস পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে লঞ্চটি চলাচলরত নৌপথের এক বর্গকিলোমিটারের মধ্যে গভীরতা ছাড়াও এর আশপাশের অন্য যে কোন নৌযানের উপস্থিতি চিহ্নিত করতে পারবে। দক্ষ মাস্টার, সুকানি ও ইঞ্জিন চালক (ড্রাইভার) ছাড়াও মোট ৫৫ জন বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রু নিয়োগ করা হয়েছে। নিজাম উদ্দিন আরও জানান, তার মালিকানাধীন দিবা সার্ভিসের ক্যাটামেরিন এ্যাডভেঞ্চার-৫ একইদিন উদ্বোধন করে যাত্রী পরিবহন করা হবে। এ ক্যাটামেরিন সকাল সাড়ে আটটায় বরিশাল থেকে এবং বিকেল তিনটায় ঢাকা থেকে যাত্রী পরিবহন করবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এ ক্যাটামেরিনে মোট ৫২০টি আসন করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনশ’ আসন ছয়শ’ টাকা, দুইশ’ আসন রাখা হয়েছে নয়শ’ টাকা এবং ভিআইপিদের জন্য ২০টি আসন রাখা হয়েছে ১২শ’ টাকা করে। লঞ্চ ও স্টিমারে স্পেশাল সার্ভিস ১৩ জুন ॥ ঈদে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য নৌযানের বিশেষ সার্ভিস আগামী ১৩ জুন থেকে শুরু করা হবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বরিশাল দফতরের উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, ঈদের বিশেষ সার্ভিসের সিডিউল অনুযায়ী সংস্থার ছয়টি জাহাজেই বিশেষ সার্ভিসে যাত্রী পরিবহনে থাকবে। জাহাজগুলো হলো- পিএস টার্ন, পিএস মাহসুদ, পিএস লেপচা, পিএস অস্ট্রিচ, এমভি মধুমতি এবং এমভি বাঙ্গালী। সূত্রমতে, ঈদের আগে ১৩, ১৪ ও ১৫ জুন প্রতিদিন দুটি করে জাহাজ ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে ছাড়বে। এর মধ্যে কোন জাহাজ বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, মোড়েলগঞ্জ হয়ে খুলনা পর্যন্ত যাতায়াত করবে। ঈদের পর কর্মমুখী যাত্রীদের কর্মস্থলে ফেরাতে ১৮, ১৯, ২২ ও ২৩ জুন প্রতিদিন দুটি করে জাহাজ বরিশাল থেকে ঢাকায় যাবে। লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সব রুটে ঈদের বিশেষ সার্ভিস শুরু করা হবে ১৩ জুন। ঢাকা-বরিশাল রুটে দিবা ও রাত্রি মিলিয়ে মোট ৩০টি লঞ্চ এ বিশেষ সার্ভিসে যুক্ত হচ্ছে। আসন সাড়ে চার হাজার, চাহিদা ৫০ হাজার ॥ ঈদ সামনে রেখে ঢাকা-বরিশাল রুটে নৈশকালীন এবং দুইটি দিবা লঞ্চ সার্ভিসসহ ৩০টি লঞ্চ প্রস্তুত থাকলেও প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর টিকিটের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে। এ রুটে ঈদের সাত দিনে লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর আসন রয়েছে ৩০ হাজারের কিছু বেশি। এর বিপরীতে এরই মধ্যে চাহিদাপত্র জমা পড়েছে সাড়ে তিন লাখ। অর্থাৎ তিন লাখ ২০ হাজারের মতো যাত্রী তাদের প্রত্যাশিত টিকিট পাচ্ছেন না। তবে এসব লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের হিসেব এরমধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। প্রতিটি লঞ্চে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর আসনের কয়েকগুণ বেশি যাত্রী চলাচল করে ডেকে বসে। লঞ্চের এক কর্মকর্তা জানান, এসব লঞ্চে দৈনিক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সাড়ে চার হাজার আসনের বিপরীতে চাহিদা রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। বুকিং কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, এ বছর লঞ্চের প্রতিটি আসনের বিপরীতে ১১টি করে আবেদন জমা পড়েছে। লঞ্চ মালিকরা ইতোমধ্যে ঈদের টিকিট বিক্রি শুরু করার পর দৈনিক চাহিদার বিপরীতে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অধিকাংশ কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, কোন দালাল যাতে প্রশ্রয় না পায় সেজন্য আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে যাত্রীদের মাঝে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। আকাশ পথে বিমানের সর্বনি¤œ ভাড়া ॥ আকাশপথে বিমান বাংলাদেশ ফ্লাইট বৃদ্ধির পাশাপাশি ১০ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সর্বনি¤œ দুই হাজার থেকে সর্বোচ্চ আট হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করেছে। বিমান বাংলাদেশের বরিশালের ব্যবস্থাপক ইকবাল আহমেদ চৌধুরী জানান, ১৩ জুন একদিনের জন্য স্পেশাল সার্ভিসে সর্বনি¤œ ১৫৯৯ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। বেসরকারী বিমান ইউএস বাংলার বরিশালের ইনচার্জ মোঃ সাইফুর রহমান জানান, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত সার্ভিসের পাশাপাশি ১২ ও ১৩ জুন স্পেশাল সার্ভিস পরিচালনা করা হবে। ইউএস বাংলা সর্বনি¤œ ২৬৯৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ নয় হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এছাড়াও বিমানের প্রতিযোগিতায় ঈদে আকাশ পথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্যও থাকছে নানা ধরনের অফার। ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে অবিশ্বাস্য রকমের ছাড় দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। মাত্র দুই হাজার থেকে দুই হাজার তিনশ’ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটের টিকিট। ঈদকে ঘিরে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি দামে অধিকাংশ টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে শুরু করে অন্য এয়ারলাইন্সগুলোর। সূত্রমতে, ১৯ থেকে ২১ জুন ঢাকা থেকে বরিশাল, রাজশাহী, যশোর ও সৈয়দপুর রুটের টিকিট পাওয়া যাবে মাত্র দুই হাজার টাকায়। পাশাপাশি ঢাকা থেকে সিলেট ও চট্টগ্রামের টিকিটি পাওয়া যাবে দুই হাজার তিনশ’ টাকায়। এই ভাড়ায় ভ্রমণ করা যাবে ১৬ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত। অপরদিকে ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত বরিশাল, সৈয়দপুর, রাজশাহী, যশোর থেকে ঢাকায় আসা যাবে দুই হাজার টাকায়। একই সময়ে একই রুটে চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটের ভাড়া দুই হাজার তিনশ’ টাকা। সড়ক পথে নেই খানাখন্দ ॥ অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে নেই কোন খানাখন্দ। এছাড়া মহাসড়কের দুইপাশ বর্ধিতকরণের ফলে যাত্রীরা নিরাপদেই এবার সড়ক পথে তাদের গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবেন। এবারের ঈদে ঢাকা-বরিশাল সড়কপথে প্রথমবারের মতো গ্রীনলাইন পরিবহন ও অন্যান্য বছরের মতো ঈগল, হানিফ, সাকুরা, গোল্ডেন লাইন, সোনারতরী, মেঘনা, বেপারীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবহন যাত্রীসেবা প্রদান করবে। পাশাপাশি মাওয়া-বরিশাল রুটে রয়েছে বিআরটিসি এসি বাস সার্ভিসের সঙ্গে মাইক্রোবাসে যাতায়াতের সুবিধা।
×