ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইংলিশদের উড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২৮ মে ২০১৮

ইংলিশদের উড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লর্ডস টেস্টে স্বাগতিক ইংলিশদের কার্যত উড়িয়ে দিল পাকিস্তান। চারদিনেই ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সরফরাজ আহমেদের দল। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১৮৪ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে নিজেরা ৩৬৩ করেই মূলত ম্যাচের লাগাম হাতে নিয়ে নেয় পাকিরা। দ্বিতীয় ইনিংসে কঠিন চাপে থাকা ইংলিশরা ২৪২-এ অলআউট হলে জয়ের জন্য সফরকারীদের সামনে মাত্র ৬৪ রানের সহজ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। ১২ ওভার ৪ বল খেলে ১ উইকেট হারিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। দুই ইনিংসে ৪টি করে মোট ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস। আরেক পেসার মোহাম্মদ আমিরের শিকার সংখ্যা ৫। এ জয়ে পাকিস্তান যে সিরিজ হারছে না সেটি নিশ্চিত হয়ে গেল। হেডিংলিতে শুক্রবার শুরু সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। রবিবার চতুর্থ দিনে ৬৪ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় ওভারে আজহার আলিকে হারায় পাকিস্তান। এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জেমস এ্যান্ডারসনের বলে বোল্ড হয়ে যান এই ওপেনার। তবে অন্য ওপেনার ইমাম-উল-হককে নিয়ে লাঞ্চের আগেই বাকিটা সারেন হারিস সোহেল। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৬ চার আর এক ছক্কায় ৩২ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন সোহেল, দুটি চারে ১৮ রানে ইমাম। এর আগে ৬ উইকেটে ২৩৫ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। আগের দিনের ১২৫ রানের সঙ্গে আর একটি রান যোগ করে ভাঙ্গে স্বাগতিকদের সপ্তম উইকেট জুটি। ৬৭ রান করা জস বাটলারকে এলবিডবিডব্লিউ করে ইংলিশদের প্রতিরোধ ভাঙ্গেন আব্বাস। পরে এই পেসার বিদায় করেন স্টুয়ার্ট ব্রডকে (০)। মার্ক উডকে (৪) কট বিহাইন্ড বরার পর ডমিনিক বেসকে (৫৭) বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে ২৪২ রানে গুটিয়ে দেন অপর পেসার মোহাম্মদ আমির। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছিলেন আাগের দিনই আউট হওয়া অধিনায়ক জো রুট। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে নামা চতুর্থদিনে ইংলিশদের ইনিংসের আয়ু ছিল মোটে ২৫ বল, যোগ হয় মাত্র ৭ রান। সফরকারীদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার আমির। আরেক পেসার আব্বাস ৪১ রানে নেন ৪ উইকেট। ম্যাচে ৬৪ রানে ৮ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান তারই। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। আর প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের রূপকার চার হাফসেঞ্চুরিয়ান আজহার আলি (৫০), আসাদ শফিক (৫৯), বাবর আযম (৬৮ আহত অবসর) ও শাদাব খান (৫২)। স্কোর ॥ ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ॥ ১৮৪/১০ (৫৮.২ ওভার; কুক ৭০, স্টোনম্যান ৪, রুট ৪, মালান ৬, বেয়ারস্টো ২৭, স্টোকস ৩৮, বাটলার ১৪, বেস ৫, উড ৭, ব্রড ০, এ্যান্ডারসন ০*; আমির ১/৪১, আব্বাস ৪/২৩, হাসান ৪/৫১, ফাহিম ১/২৮, শাদাব ০/৩৪) ও দ্বিতীয় ইনিংস ॥ ২৪২/১০ (৮২.১ ওভার; কুক ১, স্টোনমান ৯, রুট ৬৮, মালান ১২, বেয়ারস্টো ০, স্টোকস ৯, বাটলার ৬৭, বেস ৫৭, উড ৪, ব্রড ০, এ্যান্ডারসন ০*; আমির ৪/৩৬, আব্বাস ৪/৪১, ফাহিম ০/৩১, হাসান ০/৫৮, শাদাব ২/৬৩)। পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ॥ ৩৬৩/১০ (১১৪.৩ ওভার; আজহার ৫০, ইমাম ৪, সোহেল ৩৯, শফিক ৫৯, বাবর ৬৮ (আহত অবসর), সরফরাজ ৯, শাদাব ৫২, ফাহিম ৩৭, আমির ২৪*, আব্বাস ৫; এ্যান্ডারসন ৩/৮২, ব্রড ১/৬১, উড ২/৭৪, স্টোকস ৩/৭৩, বেস ০/৫৯) ও দ্বিতীয় ইনিংস ॥ ৬৬/১, লক্ষ্য ৬৪ (১২.৪ ওভার; আজহার ৪, ইমাম ১৮*, সোহল ৩৯*; এ্যান্ডারসন ১/১২, ব্রড ০/১৩, বেস ০/২৯, উড ০/৭)। ফল ॥ পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ মোহাম্মদ আব্বাস (পাকিস্তান)। সিরিজ ॥ দুই টেস্টের সিরিজে পাকিস্তান ১-০তে এগিয়ে।
×