স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সেই ১৯৮৬ সালে দিয়াগো ম্যারাডোনার হাত ধরে সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। এরপর কেটে গেছে ৩২ বছর। আর সোনার ট্রফিটি ছুঁয়ে দেখা হয়নি আলবিসেলেস্তেদের। গতবার ব্রাজিল বিশ্বকাপে তীরে এসে তরী ডোবে। এবার তাই স্বপ্নের শিরোপা জিততে চায় আর্জেন্টিনা। এ লক্ষ্যে সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে অধিনায়ক করে ২৩ জনের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে দেশটি। কিন্তু বিশ্বকাপের আগেই হোঁচট খেতে হয়েছে মেসি, মারিয়াদের। কেননা হাঁটুর ইনজুরিতে দল থেকে ছিটকে পড়েছেন আর্জেন্টিনার নাম্বার ওয়ান গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো। এরই মধ্যে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন দেশটির কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী তারকার মতে, আসন্ন বিশ্বকাপে বড় ধরনের বিপদে পড়বে আর্জেন্টিনা। এক সাক্ষাতকারে ম্যারাডোনা বলেন, ‘গ্রুপপর্বে কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে হবে আর্জেন্টিনাকে। এই পর্বের বাধা টপকে যাওয়া কঠিনই হবে মেসি-মারিয়াদের।’ এবারের বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে খেলবে আর্জেন্টিনা। গ্রুপের অন্য দলগুলো হলোÑ আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও নাইজিরিয়া। ১৬ জুন আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করবে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। গ্রুপপর্ব টপকানোটাই আর্জেন্টিনার জন্য কঠিন বলে মনে করেন দেশটির অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ম্যারাডোনা।
গ্রুপপর্বে নাইজিরিয়াকে তো বটেই অন্য দলকেও আর্জেন্টিনা হারাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় দলের হয়ে ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করা ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর বলেন, ‘আমি খুব সন্দিহান এবং সত্যিই অনেক বেশি সংশয়ের ব্যাপার এটি। আশাকরি প্রথমপর্বে সবকিছু ভালভাবেই করতে পারবে তারা। এই গ্রুপে আইসল্যান্ড, নাইজিরিয়া ও ক্রোয়েশিয়া আছে এবং এ জন্যই এটি সহজ হবে না। মোটেও সহজ হবে না।’ ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের জয়ের সদস্য ম্যারাডোনা সাক্ষাতকারে জাতীয় দল নিয়েই বেশিরভাগ কথা বলেন। কোচ জর্জ সাম্পাওলির সমালোচনা করে ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনা বলেন, ‘এটি এমন একটা দল যাদের কোন অভিজ্ঞতা নেই, তাদের কোন নেতা নেই এবং তাদের ম্যাচ নিয়ে নেই কোন পরিকল্পনাও। মনে হচ্ছে এবার আমাদের মানসম্মান অনেক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে, মানসম্মান বিসর্জন হতে যাচ্ছে।’
দল নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি আসন্ন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ফরমেশন নিয়েও কথা বলেন ম্যারাডোনা, ‘আর্জেন্টিনা থেকে জানতে পেরেছি তিনি (কোচ) ২-৩-৩-২ ফরমেশনে খেলতে চায়। এটা অদ্ভুত। ১৯৩০ সালে এভাবে খেলা হতো।’