ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-বরিশাল সড়ক

কাজ শেষের আগেই খানাখন্দ

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

কাজ শেষের আগেই খানাখন্দ

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় বহু কাক্সিক্ষত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সংস্কার কাজ শেষের আগেই সদ্য সমাপ্ত সড়কের ১১টি স্থান দেবে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পুনরায় ভোগান্তিতে পরেছে দূরপাল্লার যানবাহন চালকসহ যাত্রীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ হস্তান্তরের আগেই (চলমান অবস্থায়) সদ্য সমাপ্ত সড়কের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল খাঞ্জাপুর পর্যন্ত সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে ফের খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যস্ততম এ মহাসড়কের গৌরনদীর কটকস্থল, আরিফ ফিলিং স্টেশন, বার্থী হাইস্কুল, বার্থী কলেজ, ইল্লা, খাঞ্জাপুর, গাইনের পাড়, ইল্লা ফিলিং স্টেশন ও খাঞ্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১১টি স্থানে সদ্য সমাপ্ত কাজের পরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার পিচ ও পাথর উঠে গেছে। এছাড়া কাজের অনেক স্থানে পাথর উঠে আলাদা হয়ে গেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘ ভোগান্তির পর মহাসড়ক সংস্কারের কাজ শেষ হতে না হতেই নতুন সড়ক পুরাতনের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে। ফলে এখন গর্ত ভরাটের কাজ করছেন ঠিকাদারের শ্রমিকরা। কটকস্থল এলাকার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন, আব্দুর রব, ইল্লার আব্দুল বারেক, খাঞ্জাপুরের আব্দুর রহিমসহ একাধিক বাসিন্দারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মহাসড়কটি সংস্কার নিয়ে ঠিকাদার অনিয়ম, দুর্নীতি ও তালবাহানা করে গেলেও বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। স্থানীয় এক ঠিকাদার ও এক প্রকৌশলী বলেন, পুরাতন সড়ক স্টেলি ফাই (চওয়া)’র পরে নতুন করে বেইজ টাইপের মাধ্যমে ভালভাবে কমপেক্ট করে তার ওপর বাইন্ডার কোর্স (দ্বিতীয় ধাপ) কাজ করার কথাছিল। কিন্তু ঠিকাদার পুরাতন রাস্তা তুলে ওই মালামাল দিয়েই বেইচ কোর্স তৈরি করেছে। যা পানি দিয়ে ঠিকমতো কমপেক্ট করা হয়নি। জোড়াতালি দিয়ে কোন রকম দায়সারা কাজ করায় সড়কের এ পরিণতি হয়েছে। তাছাড়া বাইন্ডার কোর্স ও প্রাইমকোটে পরিমাণ মতো বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহৃত বিটুমিন ছিল অত্যন্ত নিম্নমানের। এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক আব্দুল জলিল সরদার, দেলোয়ার হোসেন, স্বপন সরদারসহ অনেকেই বলেন, সড়ক সংস্কারের নামে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে। সওজ ও ঠিকাদার মিলে সরকারী টাকা লুটপাট করেছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারা তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেন, কাজ শেষের আগেই সামান্য বৃষ্টিতে সদ্য সমাপ্ত সড়ক সংস্কার কাজের অংশে আবার খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক খালে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
×