ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যয় হবে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা

চট্টগ্রাম নগরবাসীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে চউকের প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

চট্টগ্রাম নগরবাসীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে চউকের প্রকল্প

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম নগরবাসীকে জলবদ্ধতা মুক্ত করবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম নগরীর জলবদ্ধতা দূরীকরণে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়েছে। তবে এর মধ্যে সরকার থেকে বরাদ্দ প্রাপ্ত ৫শ’ কোটি টাকার কাজে নেমেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। চউকের তত্ত্বাবধানে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর। ষোলশহর ২নং গেট এলাকার চশমা খালকে পুনঃখননের মধ্য দিয়ে এ কাজের উদ্বোধন করেন চউক চেয়ারম্যান আব্দুচ সালাম। শনিবার সকালে চউকের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের উপস্থিতিতে মোনাজাতের মাধ্যমে এ কাজ শুরু করেন। এর আগে সেনাবাহিনীর সঙ্গে চউকের চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগরীর একটি হোটেলে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট এই মেগা প্রকল্পের অনুমোদন হয় একনেকে। ২০২০ সালের ৩০ জুন এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ৫ বছরের উন্নয়নে চট্টগ্রাম শহর ৫০ বছর এগিয়ে যাবে এমন আশাবাদ চউক চেয়ারম্যানের। জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ১২টি খালের পুনঃখনন ও সম্প্রসারণ এবং সংস্কারের মাধ্যমে এই বছর আংশিক জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে মুক্তির চেষ্টা করছে চউক। শনিবার সকালে চশমা খালের মুখ ভরাট হয়ে যাওয়া ও ময়লা আবর্জনা উত্তোরণের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে। এক্সেভেটর দিয়ে খাল থেকে মাটি উঠিয়ে তা সাময়িক সময়ের জন্য ফুটপাত ও সড়কের পার্শ্বে রাখা হয়। দিন শেষে রাতের মধ্যেই সেগুলো আবার অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে ডাম্পট্রাকের মাধ্যমে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সেনাবাহিনী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা লিমিটেড এবং করিম গ্রুপের। একনেকে অনুমোদন হওয়া ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার এ মেগা প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে সিজিআইএস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের পক্ষ থেকে মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে আর অর্থায়ন করবে চউক। যেসব এলাকায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা যায় সেসব এলাকায় আগে ভাগেই কাজ শুরু হবে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রথমে ৩০ ওয়ার্ডের খাল ও বড় নালা পরিষ্কার করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ষোলশহর থেকে বহদ্দার হাট বাস টার্মিনাল, ষোলশহর রেলগেট সংলগ্ন বাজার থেকে ষোলশহর আহম্মদীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত খাল ও নালা পরিষ্কার করা হবে। এরপর আগ্রাবাদ, হালিশহর, দক্ষিণ হালিশহর, খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, বাকলিয়া, চান্দগাঁওসহ নিচু এলাকার খাল ও নালাসহ পর্যায়ক্রমে বাকি ১১ ওয়ার্ডের নালা, খাল-বিল পরিষ্কার করা হবে। প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন প্রসঙ্গে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুম অতি সন্নিকটে হওয়ায় চলতি বছর এর পুরো সমাধান হবে না। সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম পর্যায়ে ৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেনাবাহিনী পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করবে।
×