ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হুইপ আতিককে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

হুইপ আতিককে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতির অভিযোগে সংসদের সরকারদলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা আতিউর রহমান আতিককে দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা কে এম মেসবাহ উদ্দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার জানান, গত ৫ এপ্রিল আতিককে তলব করে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। শেরপুর-১ (সদর) আসনের এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ পেয়ে দুদক এই অনুসন্ধান শুরু করে। শেরপুর জেলা আওয়াামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিয়োগ বাণিজ্য করে এবং টিআর-কাবিখা প্রকল্প, স্কুল কলেজের এমপিওর টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে নামে বেনামে সাত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। শেরপুরের তিন আনি বাজারে তিনি বিলাসবহুল একটি বাড়ি কিনেছেন, গ্রামের বাড়ি কামারিয়ায় ৩০ একরের বাগান বাড়ি তৈরি করেছেন, ঢাকার বসুন্ধরা ও বনশ্রীতে দুটি প্লটের মালিক হয়েছেন, ধানম-ি ও গুলশানে দুটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে লোনের মাধ্যমে টাকা নিয়ে আমার বাড়ি-গাড়ি করা হয়েছে। আমি স্বচ্ছ, সততা ও ন্যায়নিষ্ঠভাবে রাজনীতি করে এসেছি, এটা প্রমাণিত। ভবিষ্যতেও সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে। তিনি বলেন, আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমি সেগুলোর যথাযথ জবাব দিয়েছি। যারা অভিযোগ করেছে তাদের এগুলো প্রমাণ করতে হবে। এসব অভিযোগের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক বা সম্পৃক্ততা নেই। হুইপ আতিক বলেন, কে কী বলেছে সেটা দেখার বিষয় না। আমি গ্রাম থেকে উঠে এসেছি, রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যমূলক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদকের সচিব ড. শামসুল আরেফিন বলেন, কাউকে হয়রানি করার জন্য দুদক তদন্ত করে না। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তিন বছর আগে আনা হয়েছিল। হাইকোর্টে রিটের কারণে তদন্ত স্থগিত ছিল। রিট আবেদনটি খারিজ হওয়ার পর আবার তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যক্তি নয়, দুর্নীতির গুরুত্ব বিবেচনা করে দুদক তদন্ত করে থাকে।
×