ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় ছাত্রলীগের ২৪ জনকে বহিস্কার

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ১৭ এপ্রিল ২০১৮

সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় ছাত্রলীগের ২৪ জনকে বহিস্কার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলে ১০ এপ্রিলের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেত্রীসহ ২৪ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, ১০ এপ্রিল রাতে সুফিয়া কামাল হলে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে তাদের স্থায়ীভাবে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। বহিষ্কৃতরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন, কবি সুফিয়া কামাল হলের সহসভাপতি মুর্শেদা খানম, আতিকা হক স্বর্ণা, হলের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতী আক্তার সুমি, সহসম্পাদক শ্রাবণী, আর্থ এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার সুমি, চারুকলা বিভাগের উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আশা। এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মী নাট্যকলা বিভাগের লিজা, মিথিলা নুসরাত চৈতি, সংগীত বিভাগের সোনম সীথি, প্রিয়াঙ্কা দে, প্রভা, চারুকলার সুদীপ্তা ম-ল, অনামিকা দাস, নৃবিজ্ঞানের শারমিন সুলতানা, উর্দু বিভাগের মিতু, ভূতত্ত্ব বিভাগের শিলা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মনিরা, রুনা, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের জুঁই, বাংলা বিভাগের তানজিলা ও সমাজকল্যাণ বিভাগের তাজ। এ ব্যাপারে সাইফুর রহমান সোহাগ জনকণ্ঠকে বলেন, সুফিয়া কামাল হলের সেই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চিহ্নিত দোষী হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন শুধু তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে বিশ^বিদ্যালয় আলাদা তদন্ত কমিটি করেছে। এ সকল দোষীর বিষয়ে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়ও যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও জানান সোহাগ। প্রঙ্গত, সরকারী চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনে যোগ দেয়া ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে এশাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই রাতে এশাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে দেয়া হয়। তবে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ছাত্রলীগের করা কমিটির প্রতিবেদনের ওই ঘটনার কোন প্রমাণ পায়নি। ফলে বহিষ্কারের তিনদিন পর ১৩ এপ্রিল এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় সংগঠনটি।
×