ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ৪ এপ্রিল ২০১৮

বাউফলে ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৩ এপ্রিল ॥ এমরান ব্যাপীর নামের ছাত্রলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এমরান ব্যাপারী সূর্যমনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এমরান অভিযোগ করেন, তার ভাই সাগর এ বছর শহরের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজ সেন্টার থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। ঘটনার দিন পরীক্ষা শেষে তার ভাই সাগরকে গোলবাড়ি থেকে একটি অটোরিক্সায় তুলে নুরাইনপুর গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এরপর তিনি একটি দোকানে ঢুকে চা পান করছিলেন। এ সময় মেহেদী জোমাদ্দার নামের এক যুবক এসে তার পাশে বসেন এবং মোবাইল ফোনে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি (মেয়র জুয়েল গ্রুপ) সাইদুর রহমান হাসানকে ডেকে আনেন। এরপর তাকে একটি মোটরবাইকে বসিয়ে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েলের মুসলিমপাড়ার দোতলা বাসভবনের নিচতলার একটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে তাকে লোহার রড ও লাকড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেন। প্রায় ১০ মিনিট ধরে তার ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়। এতে তার মাথা, বাম হাত ও বাম পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা গুরুতর জখম হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে হাসান তাকে দিয়ে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও বাউফলের এমপি আসম ফিরোজের পুত্র জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক রায়হান সাকিবকে ফোন দিতে বাধ্য করেন। রায়হান সাকিব জানান, তিনি মোবাইল রিসিভ করেই প্রচ- কান্না ও ডাকচিৎকারের শব্দ শুনতে পান এবং নির্যাতনকারীদের মধ্যে যে কোন একজন তাকে উদ্দেশ করে বলছিলেন, সাকিব আমরা এমরানকে মারছি। তুই তার শব্দ শোন। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ নেতা এমরানকে কোন চিকিৎসা ছাড়াই বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ খবর পেয়ে বাউফল থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।
×