ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

লড়লেন কেবল বেয়ারস্টো

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ৩১ মার্চ ২০১৮

লড়লেন কেবল বেয়ারস্টো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অকল্যান্ডে মাত্র ৫৮ রানে অলআউটের লজ্জায় ডুবেছিল ইংলিশরা। কিউই-পেস আক্রমণ সামলাতে গিয়ে ক্রাইস্টচার্চেও বেশ বিপদে পড়েছিল তারা। তবে এবার ৯৪ রানে ৫ উইকেট হারানো ইংলিশদের উদ্ধার করেছেন জনি বেয়ারস্টো। প্রথমদিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান সংগ্রহ করা ইংল্যান্ডের হয়ে ৯৭ রানে অপরাজিত এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে ৬২ বলে ৫২ রানের এক ঝড়ো ইনিংস উপহার দিয়েছেন টেল-এন্ডার মার্ক উড। কিউদের হয়ে পেসার টিম সাউদি ৫ ও ট্রেন্ট বোল্ড নিয়েছেন ৩ উইকেট। উল্লেখ্য, অকল্যান্ডে ইনিংস ও ৪৯ রানের বড় জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে অতিথি ইংলিশদের এখানে জিততেই হবে। ক্রাইস্টচার্চে শুক্রবার এক পর্যায়ে ১৬৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু বেয়ারস্টো ও মার্ক উডের জুটিতে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে সফরকারীরা। সকালে টস জিতে বোলিং নেয়া কিউইরা সাফল্য পেয়ে যায় দ্রুতই। সেরা সময়ের ছায়া হয়ে থাকা এলিস্টার কুক ব্যর্থ এবারও। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই ইংল্যান্ড ইতিহাসের সর্বাধিক রানের মালিকের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন ট্রেন্ট বোল্ট। দারুণ তিনটি চারের পর জেমস ভিন্সকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন পেস আক্রমণে তার সঙ্গী সাউদি। ইংল্যান্ডের রান তখন ২ উইকেটে ৩৮। তৃতীয় উইকেটে মার্ক স্টোনম্যান ও অধিনায়ক জো রুট গড়েন ৫৫ রানের জুটি। দু’জনের ব্যাটে যদিও ছিল দুই রকম সুর। শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন স্টোনম্যান, তবে উইকেট আঁকড়ে ছিলেন রুট। অধিনায়ক খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। কিন্তু দু’জনের কেউ বড় করতে পারেননি ইনিংস। ৩৫ ও ৩৭ রানে তাদের ফিরিয়ে দেন আক্রমণে ফেরা সাউদি। এই দুই উইকেটের মাঝে ডেভিড মালানকে প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নমুখী করেন বোল্ট। ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড তখন ছন্নছাড়া। বেয়ারস্টোর প্রতিরোধের শুরু সেখান থেকেই। ঘুরে দাঁড়ানোর প্রথম ধাপে তার সঙ্গী বেন স্টোকস। ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন দু’জন ৫৭ রানের জুটি। ২৫ রান করা স্টোকসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন বোল্ট। সাউদি আবার বোলিংয়ে এসে ফিরিয়ে দেন স্টুয়ার্ট ব্রডকে। ইংলিশদের প্রতিরোধের নতুন পর্ব শুরু এরপর। মঈন আলি ও ক্রিস ওকস একাদশ থেকে বাদ পড়ায় এই ম্যাচে বেশ দুর্বল ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লোয়ার মিডল অর্ডার। তবে সেই ঘাটতি পুষিয়ে দেন উড। ব্যাটিং সামর্থ্যরে জন্য ততটা পরিচিত না হলেও এদিন দুর্দান্ত খেলে সঙ্গ দেন বেয়ারস্টোকে। বিপর্যয়ের মধ্যেও বেয়ারস্টো খেলেছেন নিজের সহজাত খেলা। উড ওয়ানডেন স্টাইলে । অষ্টম উইকেটে দু’জনের ৯৫ রানের জুটিতে রান উঠেছে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। শেষ পর্যন্ত এই জুটিও ভাঙ্গেন সাউদি। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ বলে ৫২ রান করা উডকে ফিরিয়ে পূরণ করে পঞ্চম উইকেট। টেস্টে ৫ উইকেট পেলেন সপ্তমবার। অভিষিক্ত স্পিনার জ্যাক লিচকে নিয়ে বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দেন বেয়ারস্টো। দিন শেষে ১১ চার ও ১ ছক্কায় বেয়ারস্টো অপরাজিত ৯৭ রানে। দ্বিতীয়দিনে তার সামনে হাতছানি পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরির। স্কোর ॥ ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ॥ ২৯০/৮ (৯০ ওভার; কুক ২, স্টোনম্যান ৩৫, ভিন্স ১৮, রুট ৩৭, মালান ০, স্টোকস ২৫, বেয়ারস্টো ৯৭*, ব্রড ৫, উড ৫২, লিচ ১০*; বোল্ট ৩/৭৯, সাউদি ৫/৬০, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/৪৪, ওয়াগনার ০/৬৯, সোধি ০/৩১)। ** প্রথমদিন শেষে
×