ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সালিশে সংঘর্ষ ॥ নিহত দুই

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ২৫ মার্চ ২০১৮

সালিশে সংঘর্ষ ॥ নিহত দুই

সিলেটে মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধ স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকর বাজারে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে দুই জন নিহত ও অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সালুটিকর বাজার মসজিদের জায়গার মালিকানা নিয়ে উপজেলার মিত্রিমহল ও বহর গ্রামের লোকজনের মধ্যে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মিত্রিমহল গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মনাই মিয়া ও আজিজুল ইসলামের ছেলে রুমেল আহমদ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সালুটিকর বাজার মসজিদের দখলে থাকা একখ- ভূমি নিয়ে শুক্রবার মসজিদের মোতাওয়াল্লি মিত্রিমহল গ্রামের আবদুস সোবহান এবং বহর গ্রামের জামাল উদ্দিন, ফখর উদ্দিন ও ফয়েজ আহমদের মধ্যে বাগবিত-া হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। শনিবার সকালে উত্তেজনা নিরসনের লক্ষ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম চৌধুরী, নন্দিরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান আমিরুলসহ এলাকার গণ্যমান্যলোকজন মিত্রিমহল গ্রামে সালিশে বসেন। আলোচনার একপর্যায়ে এক পক্ষের লোকজন গুলি ছুড়লে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ঘটনাস্থলেই মনাই মিয়া ও রুমেল আহমদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ সময় এলোপাতাড়ি সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। তাদের কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। . বাউফলে নিহত এক নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী/বাউফল থেকে জানান, পটুয়াখালীর বাউফলে জমিজমার বিরোধের জেরে দু’গ্রুপের সংর্ঘষে রাশেল মোল্লা (৪০) বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার রাতে মারা গেছে। ওই ঘটনায় নারীসহ আহত ছয় জন বাউফল ও পটুয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহত রাশেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিঠা মৌজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিঠা মৌজ গ্রামের মৃত ছাদের মোল্লার পুত্র হানিফ মোল্লা ও রাশেল মোল্লার সঙ্গে একই বাড়ির সেলিম খাঁ ও শহিদ খাঁর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় পটুয়াখালী যুগ্ম জজ আদালতে একটি (৭/২০১৬) দেওয়ানী মামলা চলছিল। ওই মামলায় আদালত হানিফ ও রাশেল গংয়ের ডিগ্রী প্রাপ্তমূলে ১০ অক্টোবর ২০১৭ সালে তাদের বুঝিয়ে দেয়। গত শুক্রবার সকাল এগারোটায় প্রাপ্ত জমিতে ঘর তুলতে গেলে হানিফ মোল্লা ও সেলিমের মধ্যে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় রাশেল তার মা আনোয়ারা বেগম স্ত্রী, লালমোহন, বোন শাহিদা, ভাই হানিফ মোল্লা এবং অপরপক্ষ ফিরোজ খাঁ আহত হয়। এ সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে শুক্রবার দুপুরে রাশেল মোল্লা, মা আনোয়ারা বেগম, স্ত্রী, লালমোহন, বোন শাহিদা, ভাই হানিফ মোল্লাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং ফিরোজ খাঁকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এদিকে রাশেলের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছলে কে বা কারা সেলিম খাঁর জমিতে তোলা ঘরটি গভীর রাতে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। . নড়াইলে ১৫ বাড়ি ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল থেকে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় ১৫ পরিবারের বাড়িরঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শিশুসহ ৩ জন আহত হয়েছে। ঘটনার সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, আমাদা গ্রামের কাশেম আলী খাঁ ও আলী খাঁ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। শনিবার ভোরে আলী খাঁ গ্রুপের দুই শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষ কাশেম খাঁ গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় বিভিন্ন বাড়িতে প্রবেশ করে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে নষ্ট করে। এছাড়া আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভেঙ্গে ফেলে। ঘটনার সময় একটি শিশুসহ অন্তত ৩ জন আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ওই সকল পরিবারের পুরুষ সদস্যরা একটি মামলায় আসামি থাকায় কেউ বাড়িতে ছিল না। . শরণখোলায় আহত ৫ স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, শরণখোলার সাউথখালীর সুন্দরবনসংলগ্ন সোনাতলায় চরের জমি দখল নিয়ে শনিবার সকালে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন হাবিব ফরাজী (৬০), ইদ্রিস ফরাজী (৫০) এবং প্রতিপক্ষের সৈজদ্দিন হাওলাদার (৫৫), রিপন হাওলাদার (৩০) ও মিরাজ হাওলাদার (২৭)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হাবিব, ইদ্রিস ও সৈজদ্দিনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। . তালতলীতে আহত ১৬ নিজস্ব সংবাদদাতা আমতলী, বরগুনা থেকে জানান, বরগুনার তালতলী উপজেলার চামোপাড়া গ্রামের জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে দু’ভাইয়ের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনা ঘটেছে শনিবার দুপুরে। জানা গেছে, উপজেলার চামোপাড়া গ্রামের দু’ভাই ছাদেম হাওলাদার ও হিঙ্গুল হাওলাদারের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার দুুপুরে হিঙ্গুল হাওলাদারের ছেলে নিজাম হাওলাদার টিউবওয়েলে পানি নিয়ে বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় ছাদেম হাওলাদারের লোকজন নিজামকে মারধর করে। এ ঘটনা হিঙ্গুল হাওলাদার ও তার লোকজন জিজ্ঞাসা করতে গেলে ছাদেম আলী হাওলাদারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে হানিফ পাহলান, নুরু মিয়া পাহলান, নিজাম হাওলাদার, মিরাজ, লতিফ ফরাজী, কহিনুর বেগম, ইসমাইল, মালুদা বেগম, রিজিয়া তানিয়া, মারুফা, নাসরিন, সুখী, কামাল, হোসেন আলী ও আল-আমিন আহত হয়।
×