ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বকাপকথন-৭ ॥ পঞ্চম বিশ্বকাপ : সুইজারল্যান্ড : ১৯৫৪

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিশ্বকাপকথন-৭ ॥ পঞ্চম বিশ্বকাপ : সুইজারল্যান্ড : ১৯৫৪

বাংলাদেশ ১৯৯৯ সাল থেকে ক্রিকেটের বিশ্বকাপে অংশ নিলেও ফুটবলের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত খেলতে পারেনি। কবে পারবে সেটাও কারও জানা নেই। কেননা বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের বাছাই পর্বেই খেলতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। বিশ্বকাপে খেলছে না তার পরও বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলানুরাগী মহলের উৎসাহ-আনন্দ আর কৌতূহলের শেষ নেই। জমিয়ে রাখছে চায়ের টেবিলে, অফিসপাড়া, মহল্লার মোড়ের আড্ডা। চলছে পক্ষে-বিপক্ষে তর্কবিতর্ক। আগেই বলেছি, ১৪ জুন শুরু হয়ে এ প্রতিযোগিতা শেষ হবে ১৫ জুলাই। এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করছে রাশিয়া সে কথাও সবার জানা। রাশিয়ার মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে ২১তম বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধনী ও সমাপনী (ফাইনাল) ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এ কথা সবার জানা, ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসর বসে উরুগুয়েতে। মন্টি ভিডিওতে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। মন্টি ভিডিও থেকে মস্কো। বিশ্বকাপ ফুটবলের ৮৮ বছরের পথচলা নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক আয়োজন ‘বিশ্বকাপকথন’। লিখেছেন... প্রথিতযশা কবি, কথাসাহিত্যিক ও ক্রীড়া লেখক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ মন্টিভিডিও টু মস্কো আবার ইউরোপে বিশ্বকাপ। একবার লাতিন আমেরিকায় একবার ইউরোপে। ঘুরে ফিরে বিশ্বকাপ সেই ইউরোপ-আমেরিকার গ-িতেই আটকে থাকল। প্রথমবার লাতিনে, দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার ইউরোপে; চতুর্থবার লাতিনে আর পঞ্চমবার আবার ইউরোপে। সেই লাতিন-ইউরোপের গ-ি ছেড়ে বিশ্বকাপ বেরিয়ে আসতে পারল না। বাংলায় যাকে বলেÑ ‘থোড় বড়ি খাড়া-খাড়া বড়ি থোড়।’ তবে ফিফার সদস্য সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত গতিতে। এবারে ফিফার ৮০টি দেশের প্রতিনিধিদের আয়োজক নিয়ে খুব বেগ পেতে হলো না। যদিও রেসে আরও অনেক দেশ ছিল। কিন্তু সবাইকে টেক্কা দিয়ে সবার সম্মতিতে পঞ্চম বিশ্বকাপের আয়োজকের দায়িত্ব পেল পৃথিবীর আরেক সুন্দর দেশ সুইজারল্যান্ড। এবারও ১৬টি দেশই পঞ্চম বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলল। এবার আর কোন দল নাম প্রত্যাহার করেনি। ফলে এবারের বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশ নেয় ১৬টি দেশ। এই ১৬টি দেশ নির্বাচন করা হয় বাছাই পর্বের ৩৮টি দেশের মধ্যে থেকে। ফুটবলের জনক ইংল্যান্ড এ বিশ্বকাপে এবারও অংশ নেয়। অঞ্চলভিত্তিক দলগুলো হলো : ইউরোপ থেকেÑ ইতালি, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, প. জার্মানি, হাঙ্গেরী, চেকোশ্লোভাকিয়া, যুগোশ্লাভিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, স্কটল্যান্ড; কনমোবল থেকেÑ ব্রাজিল, উরুগুয়ে; কনকাকাফ থেকেÑ মেক্সিকো; আফ্রিকা থেকেÑ তুরস্ক; এশিয়া থেকেÑ দ. কোরিয়া পঞ্চম বিশ্বকাপে অংশ নেয়। এশিয়া থেকে এবার দ. কোরিয়ার বিশ্বকাপে অভিষেক হলেও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ থেকে এবারও কোন দেশ অভিষিক্ত হলো না। যদিও এশিয়ার অভিষেকটা সুখকর হয়নি। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে কোরিয়া হাঙ্গেরীর কাছে ৯-০ ও তুরস্কের কাছে ৭-০ গোলে হেরে এশিয়ার বিশ্বকাপ খেলাটা অযৌক্তিক প্রমাণ করে। বাছাই পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ৫৭টি ম্যাচ। আর মূল পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ২৬টি ম্যাচ। সুইজারল্যান্ডের ৬টি স্টেডিয়ামে এই ২৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ বিশ্বকাপের মতো এবারও আবার গ্রুপিং করা হয়। গ্রুপ পর্বে ১৬টি দলকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। প্রত্যেক গ্রুপে ৪টি করে দল অংশ নেয়। এরপর চার গ্রুপের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘কোয়ার্টার ফাইনাল’। এবারেও নিয়মের দুর্বোধ্যতা অপেক্ষা করছিল। আরেক অবাক নিয়ম করা হয়। ফিফার দুর্বোধ্য নিয়ম আরও একবার সবাইকে হতবাক করে। প্রতি গ্রুপে দুটি দলকে বাছাই দল বিবেচিত করা হয়। বলা হয়, বাছাই দল গ্রুপে একে অপরের বিপক্ষে খেলবে না। মজার ব্যাপার হলো, পুল বি-তে দ. কোরিয়া আর তুরস্কের মধ্যে তুরস্ককে বাছাই দল করা হয়। চার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে একে অপরের মুখোমুখি হতে হয়। অপরদিকে চার গ্রুপের চার রানার্সআপ দল একে অপরের মোকাবেলা করে। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালেই দুটো ভাল দল বাদ পড়ে যায়। অপর দিকে অপেক্ষাকৃত খারাপ দুটো দল ফাইনালে চলে আসে। আর এ কারণে খেলার আকর্ষণ অনেকখানি কমে যায়। ব্রাজিল, উরুগুয়ে, ইংল্যান্ড ও হাঙ্গেরী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় একে অপরের মুখোমুখি হয়। যার ফলে ব্রাজিল ও ইংল্যান্ড কোয়ার্টারেই বিদায় নেয়। উরুগুয়ে সেমিতে। সেমিফাইনাল বিজয়ী দুই দল ফাইনালে মোকাবেলা করে। জটিল ও দুর্বোধ্য গ্রুপিংয়ের কারণে ব্রাজিল, উরুগুয়ে, ইতালি, ইংল্যান্ডের মতো দল ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। আর ব্রাজিল না থাকা মানে খেলার মূল আকর্ষণই কমে যাওয়া। পঞ্চম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে যুগোশ্লাভিয়া ১-০ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে শুভ সূচনা করলেও তাদের দৌড় কোয়ার্টার ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কাছে হেরে শেষ হয়। তবে এ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ঘটনা ছিল কোয়ার্টারে হাঙ্গেরীর কাছে ব্রাজিলের ৪-২ গোলে হেরে যাওয়া। এক পর্যায়ে এ ম্যাচটি উভয় দলের খেলোয়াড়দের শারীরিক শক্তি প্রয়োগের মহড়ায় রূপান্তরিত হয়। ফলে এ ম্যাচ ফুটবলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারায় এবং এক বীভৎস রূপ পায়। এটিকে ফুটবল ইতিহাসে ‘বার্নের যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করা হয়। আগেই বলা হয়েছে, ১৬টি দল ষষ্ঠ বিশ্বকাপে অংশ নেয়। এই ১৬টি দলকে ৪ পুলে ভাগ করা হয়। পুল-ক থেকেÑ ব্রাজিল, যুগোশ্লাভিয়া, ফ্রান্স ও মেক্সিকো; পুল-খ থেকেÑ প. জার্মানি, হাঙ্গেরী, তুরস্ক ও দ. কোরিয়া; পুল-গ থেকেÑ উরুগুয়ে, চেকোশ্লাভাকিয়া, অস্ট্রিয়া ও স্কটল্যান্ড; পুল-ঘ থেকেÑ ইংল্যান্ড, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও বেলজিয়াম অংশ নেয়। প্রথম লেগে চার গ্রুপ বিজয়ীদের তালিকায় ছিল ব্রাজিল, উরুগুয়ে, ইংল্যান্ড ও হাঙ্গেরি। আর রানার্সআপ তালিকায় ইতালি, প. জার্মানি, যুগোশ্লাভিয়া ও অস্ট্রিয়া। গ্রুপ পর্বে হাঙ্গেরী নবাগত দ. কোরিয়াকে ৯-০ গোলে, প. জার্মানি প্লে অফে তুরস্ককে ৭-০ গোলে, হাঙ্গেরি ৮-৩ গোলে প. জার্মানিকে, ব্রাজিল ৫-০ গোলে আরেক ল্যাটিন দেশ মেক্সিকোকে ও অস্ট্রিয়া ৫-০ গোলে চেক দলকে হারিয়ে চমক দেখায়। আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় গ্রুপ পর্বে প. জার্মানি এক অভিনব কৌশল অবলম্বন করে। হেরে গেলেও তাদের অসুবিধা হবে না বিধায় তারা হেরে গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার জন্য অতিরিক্ত খেলোয়াড় সমৃদ্ধ তাদের বি-দল মাঠে নামায়। তার পরও ম্যাচে তারা ৮ গোল খেলেও ৩ গোল দেয়। হাঙ্গেরী তাদের এ কৌশল বুঝতেই পারেনি। কোয়ার্টার ও সেমির লড়াইটা ছিল অন্য রকম। লড়াই হয় হাড্ডাহাড্ডি। কোয়ার্টারে প. জার্মানি ২-০ গোলে যুগোশ্লাভিয়াকে, উরুগুয়ে ৪-২ গোলে ইংল্যান্ডকে, হাঙ্গেরী ৪-২ গোলে ব্রাজিলকে এবং বিশ্বকাপের সর্বাধিক গোল উৎসব ম্যাচে অস্ট্রিয়া ৭-৫ ম্যাচে স্বাগতিক সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিতে ওঠে। সেমিফাইনালের অবস্থা নাজুক। প্রথম সেমিতে প. জার্মানি ৬-১ গোলে কোয়ার্টারে ৭ গোল করা অস্ট্রিয়াকে এবং দ্বিতীয় সেমিতে হাঙ্গেরী ৪-২ গোলে ১৯৩০ ও ৫০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। অনুষ্ঠিত হয় আরেকটা অল-ইউরোপ ফাইনাল। গ্রুপ পর্বের ফলাফল : পুল-১ যুগোশ্লাভিয়া-৩ ফ্রান্স-০; ব্রাজিল-৫ মেক্সিকো-০; ফ্রান্স-৩ মেক্সিকো-২; ব্রাজিল-১ যুগোশ্লাভিয়া-১; গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন : ব্রাজিল গ্রুপ রানার্স আপ : যুগোশ্লাভিয়া । পুল-২ হাঙ্গেরী-৮ দ. কোরিয়া-০; প. জার্মানি-৪ তুরস্ক-১; হাঙ্গেরী-৮ প. জার্মানি-৩; তুরস্ক-৭ দ. কোরিয়া-১; গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন : হাঙ্গেরী গ্রুপ রানার্স আপ : প. জার্মানি । পুল-৩ অস্ট্রিয়া-১ স্কটল্যান্ড-০; উরুগুয়ে-২ চেকোশ্লাভাকিয়া-০; অস্ট্রিয়া-৫ চেকোশ্লাভাকিয়া উরুগুয়ে-২ স্কটল্যান্ড-০; গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন : উরুগুয়ে গ্রুপ রানার্স আপ : হাঙ্গেরী-৮। পুল-৪ ইংল্যান্ড-৪ বেলজিয়াম-৪; ইংল্যান্ড-২ সুইজারল্যান্ড-০; সুইজারল্যান্ড-২ ইতালি-১; ইতালি-৪ বেলজিয়াম-১; গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন : উরুগুয়ে গ্রুপ রানার্সআপ : ইতালি । কোয়ার্টার ফাইনাল : প. জার্মানি-২ যুগোশ্লাভিয়া-০; হাঙ্গেরী-৪ ব্রাজিল-২; অস্ট্রিয়া-৭ সুইজারল্যান্ড-৫; উরুগুয়ে-৪ ইংল্যান্ড-২ সেমিফাইনাল : প. জার্মানি-৬ অস্ট্রিয়া-১; হাঙ্গেরী-৪ উরুগুয়ে-২; তৃতীয় স্থান : অস্ট্রিয়া-৩ উরুগুয়ে-১ ফাইনাল : প. জার্মানি-৩ (র‌্যান-২, মরলক) Ñ হাঙ্গেরী-২ (পুসকাস, জিবর) গ্রুপ পর্বের সেই দুই দল। প. জার্মানি ও হাঙ্গেরী আবার মুখোমুখি। এবার আর কৌশল নয়। সরাসরি খেলে জয়। এবার হাঙ্গেরী দেখল এক অন্য জার্মান দল। হলো এক স্বপ্নের ফাইনাল। স্বপ্নের ফাইনালে লড়াই হলো হাড্ডাহাড্ডি। চতুর্থ বিশ্বকাপে যেমন ব্রাজিল হট ফেবারিট ছিল এ বিশ্বকাপে ছিল হাঙ্গেরী। আগের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের মতো এবারও সবাই ধরেই নিয়েছিল হাঙ্গেরীই কাপ পাচ্ছে। সব সময় যে ফেবারিটরা কাপ পায় না সেটা আগেও প্রমাণিত হয়েছে। হাঙ্গেরী কাপ পাবে না এটা অনেকেই ভাবতেও পারেনি। সবাই ভেবেছিল হাঙ্গেরীর কাপ জেতা সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু ‘বিধির বিধান-না যায় খ-ন’ কথাটি হাঙ্গেরীর বেলায় আবারও শতভাগ প্রমাণিত হলো। ‘বিধি বাম’ যাকে বলে। গ্রুপ পর্বে দ. কোরিয়া ও প. জার্মানির বিপক্ষে এতবড় জয় পেয়ে সেমিতে অস্ট্রিয়াকে বিধ্বস্ত করেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাঙ্গেরীর সব হিসেব ওলট-পালট করে দেয় জার্মানরা। বার্নের ফাইনালে লাখো দর্শক দেখল অন্য এক জার্মানি। যেখানে আছেন ওয়াল্টার-র‌্যান-মরলকরা। তারা পুসকাস-জিবর-ককসিস-হিদেকুটিদের কোণঠাসা করে দেয়। প্রথমবার কাপ ঘরে তোলার লক্ষ্যে প. জার্মানি ও হাঙ্গেরী মাঠে নামে। ব্রাজিলের মতো হাঙ্গেরীও গোল করে এগিয়ে যায়। পুসকাস ও জিবরের গোলে হাঙ্গেরী এগিয়ে গেলেও হাফ টাইমের আগেই র‌্যান দুই গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন। ম্যাচে তখন টানটান উত্তেজনা। শ্বাসরুদ্ধকর সে ম্যাচে মরলক গোল করে ইতিহাস গড়েন। জার্মানদের বিশ্বকাপ জেতার ইতিহাস। প্রথমবার জার্মানদের কাপ পাইয়ে দেন মরলক। পঞ্চম বিশ্বকাপের হাঙ্গেরী ছিল টপ ফেবারিট। তারা ফুটবলে একটানা ৪ বছর অপরাজিত ছিল। হাঙ্গেরীর ফরোয়ার্ডরা বিশ্বকাপের আগে টানা ২৫ ম্যাচে ১০৪ গোল করে নিজেদের ‘গোল মেশিন’ এ পরিণত করেছিল। হাঙ্গেরীর পুসকাস, হিদেকুটি জিবর, ককসিসদের নাম তখন তামাম বিশ্বের ফুটবলানুরাগীর মুখে মুখে। তারা কাপ পাবে না এটা কেউ ভাবতেই পারেনি। তার পরও তাই হয়েছে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ব্রাজিলের মতো হাঙ্গেরীও কাপ জিততে পারেনি। পঞ্চম বিশ্বকাপে প. জার্মানির নেতৃত্ব দেন ওয়াল্টার আর হাঙ্গেরীর ফ্লোরেন্স পুসকাস। অস্ট্রিয়া পায় তৃতীয় স্থান আর উরুগুয়ে চতুর্থ। চতুর্থ বিশ্বকাপে মোট ১৪০টি গোল হয়। চতুর্থ বিশ্বকাপে সর্বধিক গোল করেন হাঙ্গেরীর ককসিস। তিনি এ বিশ্বকাপে ১১টি গোল করে ‘টপ স্কোরার’ হন। হাঙ্গেরীর ককসিস ২ বার, জার্মানির মরলক, অস্ট্রিয়ার প্রোবোস্ট ও ওয়াগনার, উরুগুয়ের বোরজেস এবং তুরস্কের বোরহান এ বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেন। সুইজারল্যান্ডের ৬টি স্টেডিয়ামে এ বিশ্বকাপের ২৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেন ইংল্যান্ডের উইলিয়াম লিঙ। লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ লেখক পরিষদ e-mail : [email protected]
×