ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বড়কুপা গ্রামের এক কিশোরী প্রেমের টানে পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে বিয়ের দাবিতে ছুটে এলেও নাবালিকা হওয়ায় গ্রামবাসি তাকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মঙ্গলবার তুলে দেয় তার পরিবারের হাতে। কিশোরি প্রেমিকা রতœা পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের বড়কুপা গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে। আবু বক্কর সিদ্দিক বর্তমানে মালয়েশিয়ায় প্রবাসী। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম রিপন জানান, অনন্তপুর গ্রামের লিটু মিয়ার ছেলে মহসিন আলী (১৮) একটি বেকারির মালামাল সরবরাহকারির ভ্যান চালক। সে ফ্যাক্টরির মালামাল নিয়ে পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের দাড়িদহ বাজারে প্রতিদিন বেকারির উৎপাদিত মালামাল সরবরাহ করতে যেত। এরই সুত্র ধরে দাড়িদহ বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী রত্না আকতার (১৪) এর সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। সম্প্রতি মহসিন আলী রত্নাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ছেলের পরিবারের অস্বচ্ছলতা থাকায় রত্মার মা ও আত্মীয়-স্বজনরা এ বিয়েতে রাজি ছিল না। এরই জের ধরে গত সোমবার সন্ধ্যায় রত্না বাড়ি ছেড়ে ভালবাসার টানে ছুটে যায় প্রেমিক মহসিন আলীর বাড়িতে। সেখানে রত্নার অবস্থান এলাকার লোকজন জানতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। কারণ ওই ইউনিয়নে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ। পরে রত্নাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রাতে পার্শ্ববর্তী এক মহিলা গ্রাম পুলিশের হেফাজতে তার বাড়িতে রাখা হয়। চেয়ারম্যান মেয়ের বাড়িতে খবর দিলে রত্নার পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে আসে এবং মুচলেকা দিয়ে মেয়ের ভগ্নিপতি শহিদুল ইসলাম ও খালু গোলজার হোসেনসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা রত্নাকে বাড়িতে নিয়ে যায়।
×