ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সোহেলকে দেখা গেল খালেদার গাড়িবহরে

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সোহেলকে দেখা গেল খালেদার গাড়িবহরে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে পুলিশ গুম করে ফেলার অভিযোগের পর তাকেই দেখা গেল বিএনপি চেয়ারপার্সনের গাড়িবহরে। এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সোহেলকে লোকজন নিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যেতে দেখা যায়। পরে তিনি গাঢাকা দেন। পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করার কারণ জানতে সোহেলকে আটকের চেষ্টা চলছে। গত কয়েক দিন ধরেই বিএনপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল, দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল নিখোঁজ হয়েছেন। পুলিশ সোহেলকে ধরে নিয়ে গুম করে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছিল দলটির তরফ থেকে। মঙ্গলবার দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও অভিযোগ করেন, সোহেলকে পুলিশ নিয়ে গেছে। সোহেলের কোন হদিস নেই। তাকে গুম করে ফেলা হয়েছে বলেও বিএনপির বিভিন্ন তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছিল। এ বিষয়ে পুলিশের কর্তাব্যক্তি ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও দফায় দফায় সংবাদিকের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাঁরা বলে আসছিলেন, সোহেল তাদের কাছে নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সোহেল আটক বা গ্রেফতার করেনি। সরকারের তরফ থেকে করা এমন দাবি, ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ করে আসছিল বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আদালতের উদ্দেশে রওনা হন। দুপুরে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর মগবাজার মোড়ে পৌঁছলে সেখানে নিখোঁজের পর গুম হয়ে যাওয়া সেই সোহেলকে দেখা যায়। তিনি তার লোকজন নিয়ে গাড়িবহরের সঙ্গে যেতে থাকেন। তিনি শ্লোগানও দেন। প্রায় বকশীবাজার পর্যন্ত যান তিনি। এরই মধ্যে সোহেলের লোকজনের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সোহেলকে আটকের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। আচমকা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার মধ্যে নিমিষেই হাওয়া হয়ে যান তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্র বলছে, বিএনপির তরফ থেকে সোহেলকে ধরে নিয়ে গুম করে ফেলার অভিযোগ করা হয়েছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। আসলে কেন কী উদ্দেশে এমন অভিযোগ করা হয়েছিল, তা জানতে সোহেলকে আটকের চেষ্টা চলছে। এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করার কারণ জানতে, যারা অভিযোগ করেছিলেন তাদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে এফডিসি গেট, কাওরানবাজার, মগবাজার, মৎস্যভবন ও পুরানাপল্টন এলাকা থেকে যেসব লোক ও নেতাকর্মী যোগ দিয়েছিলেন, তাদের নেপথ্যে ছিলেন হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। তিনিই মূলত তার লোকজনদের বিভিন্ন জায়গায় ছদ্মবেশে অবস্থান করিয়েছিলেন। এরপর আচমকা গাড়িবহরে সেইসব লোকজন যোগ দিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে।
×