ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চাঁপাইয়ে রেলের জমিতে আমবাগান ও পুকুর

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

চাঁপাইয়ে রেলের জমিতে আমবাগান ও পুকুর

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ আমনুরা জংশনে রেলের বাইপাসভুক্ত দশ একর জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে আমবাগান তৈরিসহ একটি পুকুর খনন করা হচ্ছে। রেলের একটি প্রভাবশালী মহল দাপট দেখিয়ে এই জমি দখলে নিয়ে এই অবৈধ কর্মকা- শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত আমনুরা বাইপাস রেলপথ নির্মাণে একাধিক মৌজার জমি হুকুম দখল করেছিল। তিন বছরের মধ্যে প্রায় এক কিলো বাইপাস রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছিল। রেলের দুই পাশে ফাঁকা বরেন্দ্র ভূমির জমি পড়ে ছিল। যা পাকশী রেল বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা। কিন্তু বাইপাস রেল চালুর অনেক আগেই একজন ট্রলিম্যান বাগান তৈরি শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই কয়েক হাজার আমের চারা লাগিয়েছে। এইসব চারা বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজন পানির। বাগান তৈরির পর থেকে বাইপাস রেল স্টেশনের বিদ্যুত ব্যবহার করে পাম্পের সাহায্যে বাগানে সেচ দেয়া হচ্ছে। অবৈধ বিদ্যুত ব্যবহারের বিদ্যুত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এই বিলের পরিমাণ কয়েক হাজার টাকা। রেলওয়ের আমিন মোহসীন আলী জানান নামমাত্র মূল্যে লিজ নিলেও বিষয়টি সম্পূর্ণ অবৈধ হবার কারণে এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। অপরদিকে নতুন রেল স্টেশনের পেছনে একটি পুকুর খনন করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য মাছ চাষ ও আমবাগানে সেচ দেয়া। পুকুর খননের কাজে কর্তব্যরত শ্রমিক আব্দুল মালেক জানান তারা প্রয়োজনে দ্বিগুণ শ্রমিক দিয়ে দ্রুত পুকুরটি খনন করছে। সূত্র বলছে এ ধরনের অবৈধ কর্মকা-ে রেলের বেশ কিছু কর্মকর্তা জড়িত। তারা দৃশ্যের বাইরে থেকে কলকাঠী নাড়ছে ও নির্দেশ দিচ্ছে। তাদের পেছনে রয়েছে একদল স্থানীয় সন্ত্রাসী। যার কারণে স্থানীয় বাসিন্দা ও রেল কর্মচারী ও স্টেশন কর্তৃপক্ষের ক্ষোভ বিরাজ করলেও ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহক দেখাচ্ছে না। এ ছাড়াও রেলের জমি লিজ নেবার বিধান থাকলেও ওই জমিতে পুকুর খননের কোন বিধান বা এখতিযার নেই কারও। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তারা পুকুর খনন করছে। নবনির্মিত বাইপাসের সংলগ্ন জমিতে বাগান তৈরি ও পুকুর খননে পরিপূর্ণ মদদ দিচ্ছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এরা দীর্ঘদিন ধরেই রেলের জমি লুটপাট করে খাচ্ছে। এদের দাপটের লাগাম অবিলম্বে টেনে না ধরলে পুরো পশ্চিমাঞ্চলে রেলের সম্পত্তি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ হবে না। সরেজমিন পরিদর্শন করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে।
×