ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্কে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করতে পারে জার্মানি

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮

তুরস্কে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করতে পারে জার্মানি

জার্মান সরকার তুরস্কের কাছে অস্ত্র রফতানি বন্ধ করে দেয়ার পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। কুর্দী ওয়াইপিজিয়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ অভিযানে জার্মানির তৈরি লেপার্ড ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বার্লিন এ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। খবর ওয়েবসাইট ও বিবিসির। কিছুসংখ্যক জার্মান রাজনীতিবিদ অনুরোধ জানিয়েছেন যে, কোন ট্যাঙ্ক রফতানি উন্নয়ন চুক্তি অনুমোদনে যে কোন উদ্যোগ বন্ধ হওয়া উচিত। তুরস্ক নেতৃত্বাধীন সৈন্যরা শনিবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ওয়াইপিজিয়ের বিরুদ্ধে এক অভিযান শুরু করেছে। দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অগ্রগতির জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করার ঠিক দুসপ্তাহ পর এ গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। ন্যাটো সদস্যভুক্ত এ দুদেশের সম্পর্কে নাটকীয় অবনতি ঘটে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। শুক্রবার প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, বিস্ফোরক পদার্থের কারণে ট্যাঙ্ক যাতে নাজুক কম হয় সে জন্য তুরস্ক লেপার্ড টু ট্যাঙ্ক রফতানির উন্নয়ন চুক্তির জন্য জার্মান অস্ত্র উৎপাদন প্রতিষ্ঠান রিইনমেটালের প্রতি যে অনুরোধ জানিয়েছে তা অনুমোদনে উদ্যোগ নিচ্ছে বার্লিন। ট্যাঙ্কগুলো সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের বিরুদ্ধে তুরস্ক ব্যবহার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপরও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জার্মান মিডিয়ায় দাবি করেছেন যে, তুরস্কের অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ থেকে সম্প্রতি যে ভাবমূর্তি সৃষ্টি হয়েছে তাতে মনে হয় কুর্দী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। বাম ও ডান উভয় পক্ষের রাজনীতিবিদরা ট্যাঙ্ক সরবরাহের উন্নয়ন চুক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন এবং সিরিয়ার উত্তরে আফরিন অঞ্চলে তুর্কী হামলার ওপর তাদের সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের (মিডিইউ) সদস্য ও পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান নরবার্ট রটজেন বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ স্পষ্ট যে ট্যাঙ্ক রক্ষণাবেক্ষণকে উন্নয়ন চুক্তি করা উচিত হবে না জার্মানির। এদিকে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুর্দী অধ্যুষিত আফরিন অঞ্চলে চার দিনের অভিযানে অন্তত ২৬০ কুর্দী যোদ্ধা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গীকে হত্যার দাবি করেছে তুরস্ক। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তুরস্ক সেনাবাহিনী এ দাবি জানায়। কুর্দী ওয়াইপিজি গেরিলা ও কথিত ‘আইএস জঙ্গীদের’ বিরুদ্ধে শনিবার থেকে দক্ষিণ সীমান্ত লাগোয়া আফরিনে ‘অপারেশন ‘অলিভ ব্রাঞ্চ’ শুরু করে তুরস্কের সেনাবাহিনী, যা বহুমাত্রিক সংঘাতে জর্জরিত সিরিয়ায় নতুন যুদ্ধক্ষেত্রের সূচনা ঘটিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আইএসের কথা বলা হলেও আঙ্কারার এই অভিযানের মূল লক্ষ্য কুর্দী ওয়াইপিজি গেরিলারাই। অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক প্রভাব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কুর্দীদেরকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে এরদোগান সরকার। তুরস্কের কুর্দীরা আফরিনের ওয়াইপিজি গেরিলাদের কাছ থেকে সহায়তা পেয়ে আসছে অভিযোগ সিরিয়ার ভেতর প্রবেশ করে অভিযানটি চালাচ্ছে আঙ্কারা।
×