বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমায় দেশেও দাম কমেছে ॥ কামরুল

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও খাদ্যশস্যের দাম কমেছে বলে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম দাবি করেছেন, বর্তমানে খাদ্যশস্যের দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে চালের দাম প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৭ টাকা কমেছে এবং আটার দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদ দলীয় সংসদ সদস্য লুৎফা তাহেরের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন। আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, খাদ্যশস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার কোন ভর্তুকি প্রদান করে না। ধান চাল ও গম সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকার স্ব স্ব পণ্যের উৎপাদন খরচের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধান, চাল ও গমের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে বাজেটে অভ্যন্তরীণভাবে ১৬ লাখ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু গত বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চাল সংগ্রহের অনিশ্চয়তা থেকে খাদ্যশস্য আমদানির লক্ষ্যে বাজেটের নির্ধারিত ৬ লাখ মেট্রিক টনের অতিরিক্ত ৯ লাখ মেট্রিক টন অর্থাৎ সর্বমোট ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আসা চাল গ্রহণ করব না ॥ বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ভিয়েতনাম থেকে যে চাল আসছে সেটা গ্রহণ করা হবে না। কারণ আইন মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে একটা সুপারিশ আছে ভিয়েতনামের চাল গ্রহণ না করার। তিনি জানান, চলতি বছরের মধ্যে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা সম্ভব হবে। এখনও দুই লাখ মেট্রিক টন চাল বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।