ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দ্বিতীয় দিনে আদালতে চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৮ জানুয়ারি ২০১৮

দ্বিতীয় দিনে আদালতে চারজনের সাক্ষ্য  গ্রহণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৭ জানুয়ারি ॥ টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল’ কলেজের শিক্ষার্র্থী রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ ও ঘাড় মটকে হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে আদালতে। পাঁচ পরিবহন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আনা মামলাটি টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে রবিবার সকালে সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত দ্বিতীয় দিনে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবুল মনসুর মিয়া মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ পিপি একেএম নাসিমুল আক্তার ও মামলার বাদী এস আকবর খান জানান, রবিবার সকালে গ্রেফতারকৃত আসামি ছোঁয়া পরিবহনের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫), জাহাঙ্গীর (১৯), চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) আদালতে উপস্থিত করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিনে চারজন সাক্ষ্য দেন আদালতে। এরা হলো- রশীদ মিয়া, প্রবীর এম কুমার, আবুল হোসেন ও রহিজ উদ্দিন। পরে আদালত মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ দেন সোমবার। গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্তানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। রুপার ভাই গত ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। গত ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং গত ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে আসামিরা সবাই টাঙ্গাইল কারাগারে আছে। গত ৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাস উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সাইফুর রহমান খান ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন জমা দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন মাথায় আঘাতজনিত কারণে রুপার মৃত্যু হয় এবং মৃত্যুর আগে রুপাকে ধর্ষণ করা হয়।
×