ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

একশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাকুর্তায় গড়ে তোলা হচ্ছে হাব পল্লী

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

একশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাকুর্তায় গড়ে তোলা হচ্ছে হাব পল্লী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের প্রায় সব হজ এজেন্সির মালিকরা একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাসের সুযোগ পাচ্ছেন। আর এ ঠিকানা হতে যাচ্ছে ঢাকার অদূরেই কেরানীগঞ্জের ভাকুর্তায়। হজ এজেন্সিজ এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) ব্যবস্থাপনায় সেখানে প্রায় একশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে হাব পল্লী। পল্লীর কাজ শেষ হলেই সেখানে দেশের অন্তত ৪ শ’ হজ এজেন্সির মালিক বসবাসের সুযোগ পাবেন। সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাব পল্লীর জন্য কেনা জমিতে বালু ও মাটি ভরাট এবং প্রায় ৮০ ফুট প্রশস্ত একটি সার্ভিস সড়ক নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভূমি উন্নয়ন সংস্থা জমজম মেগাসিটি কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমির একপাশে পূর্বদিকে এক সঙ্গে ১০ বিঘা জমির ওপরে গড়ে উঠবে হাব পল্লী। জমজম মেগাসিটি কর্তৃপক্ষের পরিচালক শেখ মোঃ আবদুল্লাহ জানান, আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রকল্পের জমি হাবকে বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও তারা আগামী ছয় মাসের মধ্যেই জমিটি বুঝিয়ে দিতে দ্রুত কাজ করে যাচ্ছেন। যাতে হাবের সদস্যরা দ্রুত সেখানে আবাসন তৈরি করে বসবাসের সুযোগ পান। এ লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে মাটি ভরাট ও সড়ক নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মাঝামাঝি উত্তর-দক্ষিণে একটি ৮০ ফুট প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে, যা বছিলায় বড় সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এছাড়া পূর্ব-পশ্চিমে আরও একটি ৬০ ফুট সড়ক নির্মাণের কাজও দ্রুত এগোচ্ছে। যা হাব পল্লীর প্লটগুলোর ঠিক মাঝামাঝি দিয়ে গাবতলী এলাকায় গিয়ে প্রধান সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এতে এ পল্লীতে বসবাসকারী সুবিধাভোগীরা দ্রুতই ঢাকার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। হাব পল্লী প্রতিটি ৫ কাঠার ৪০টি প্লটে মোট ১০ বিঘা জমি নিয়েছে। এতে জমির মূল্য ধরা হয়েছে মোট ছয় কোটি টাকা। প্রতি কাঠার মূল্য হবে তিন লাখ। এর সঙ্গে বিদ্যুত ও গ্যাস লাইন এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও সড়কসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করে প্রতি কাঠার মোট মূল্য দাঁড়াবে ছয় লাখ টাকা। এ হিসাবে জমিতে হাব পল্লীর মোট ব্যয় হবে প্রায় ১২ কোটি টাকা জানিয়ে হাবের সাবেক এই মহাসচিব জানান, সদস্যদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই এখানে সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। হাবের বর্তমান কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ মজুমদার জানান, আশা করছি জমিটি দ্রুতই হাব পল্লীর কাছে হস্তান্তর করতে পারবে কর্তৃপক্ষ। জমিটি হস্তান্তর হলেই সেখানে সদস্যদের জন্য আবাসন তৈরির কাজ শুরু করা হবে। এতে সদস্যরা দ্রুতই একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসের সুযোগ পাবে। জমি ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে ফরিদ মজুমদার বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই জমিটি কেনা হয়েছে। হাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোন কিছু কেনা-বেচা করা যাবে না, এমন কোন নিয়ম বা বিধান নেই। বরং হাব সদস্যের থেকে জমিটি কেনার কারণেই জমিটির নিষ্কণ্টকতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কোন ঝামেলা হলে ওই সদস্যকেই এর দায় নিতে হবে।
×