ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

আয়োজককে শোকজ ॥ তবুও বন্ধ হয়নি মেলার নামে জুয়া

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

আয়োজককে শোকজ ॥ তবুও বন্ধ হয়নি মেলার নামে জুয়া

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ অভয়নগরে গ্রামীণ শিল্প ও বাণিজ্য মেলার নামে অবাধে চলছে উল্লাস লটারি ও জুয়ার আসর। নওয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওয়াপাড়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টার সংলগ্ন মাঠে প্রতিদিন বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেলায় চলছে লটারি ও জুয়ার আসর। সারাদিন গ্রাম-গঞ্জে মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে লটারির টিকেট। রাতের বেলায় ড্র ও জুয়ার আসরের ফাঁদে পড়ে পথে বসছে নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রশাসনের নাকের ডগায় ‘জুয়া-লটারির মহোৎসব’ চলছে। বন্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন, আয়োজকদের নিষেধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক তাদের শোকজও করেছেন। কিন্তু লটারি, জুয়া বন্ধ হয়নি। গত ১৪ অক্টোবর যশোর জেলা ট্রাক ট্যাঙ্কলরি-কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজিত মেলা উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, মেলায় উল্লাস লটারি বিক্রির উদ্দেশে প্রতিদিন কয়েক শ’ ইজিবাইক ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে যশোর ও খুলনার বিভিন্ন এলাকায় বের হচ্ছে। আকর্ষণীয় পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে ২০ টাকায় টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। নওয়াপাড়ায় কমপক্ষে ৫০টি স্থানে মাইকিং করে টিকেট বিক্রি হচ্ছে। লোভে পড়ে টিকেট কিনে ফতুর হচ্ছে খেটেখাওয়া মানুষ। সারাদিন টিকেট বিক্রি শেষে রাত সাড়ে ৮টায় স্থানীয় কেবল লিংক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেলিভিশনে লটারি ড্র সম্প্রচার করা হচ্ছে। সরাসরি অনুষ্ঠান দেখতে টিকেট ক্রয় করা শিক্ষার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ভিড় করছে। এতে শিক্ষার্থীদের যেমন পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তেমন পরিবারে নানা অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। অভয়নগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম মাহমুদুর রহমান বলেন, বুধবার থেকে নিষেধ করা হচ্ছে, কিন্তু আয়োজকরা প্রশাসনের নিষেধ শুনছে না। তারা লটারি চালিয়ে যাচ্ছে। মেলার অনুমতি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন থেকে আয়োজকদের শোকজ করেছে। তারা শোকজ চিঠিও পেয়েছে। এখন জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
×