ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কানপুরের পিচ নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

কানপুরের পিচ নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক ॥ পুণেয় পিচ-কাণ্ডের পরে এ বার কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামকে। বিশেষ করে মাঠের উইকেট ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সচিব ইয়ুধবীর সিংহ জানিয়ে দিয়েছেন, মাঠে ঢোকার অনুমতি-সহ পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। এমনকী মাঠকর্মীদেরও কারও সঙ্গে উইকেট নিয়ে আলোচনা করতে নিষেধ করা হয়েছে। বোর্ডের আঞ্চলিক কিউরেটর তাপস চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন এখানকার উইকেটের দায়িত্বে। তবে পুণের কিউরেটর পান্ডুরঙ্গ সালগাওকরের বরখাস্ত হওয়ার ঘটনার পরে তিনিও মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। ইয়ুধবীর বলেন, ‘‘পুণের ঘটনার পরে এখন আমরা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি। পুলিশকে বলে দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে। সঠিক পরিচয়পত্র ছাড়া যেন কাউকে মাঠে ঢুকতে না দেওয়া হয়, সেই নির্দেশও কড়া ভাবে পালন করতে বলে দেওয়া হয়েছে ওদের। এই নিয়ম এমনিতেই ছিল। কিন্তু এখন আরও বেশি কড়াকড়ি করা হয়েছে এই নিয়মে।’’ পুণের ওয়ান ডে-র আগে সেখানকার কিউরেটর সালগাওকর এক ছদ্মবেশী জুয়াড়িকে সঙ্গে নিয়ে পিচে যান এবং তাকে পিচের বৈশিষ্ট নিয়ে যাবতীয় তথ্যও দেন, যা আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী নিষিদ্ধ। এমনকী জুয়াড়ির আবদারে পিচে সংশোধনেরও আশ্বাস দেন তিনি। গোপন ক্যামেরায় তোলা এই কথোপকথনের ভিডিও এক সর্বভারতীয় চ্যানেলে প্রচারিত হতেই হইচই শুরু হয়ে যায় ক্রিকেট বিশ্বে। সালগাওকরকে বরখাস্ত করে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা। এমনকী আইসিসি-ও এই নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। তাদের দূর্নীতি দমন বিভাগের এক কর্তা ভারতে এসে কাজও শুরু করে দিয়েছেন। কানপুরে এ বারের আইপিএলের সময় তিন জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেছিল এখানকার পুলিশ। তাদেরও একই ভাবে মাঠে ও উইকেটের আশেপাশে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সেই ঘটনার পরে এখানকার স্থানীয় কিউরেটর শিব কুমারকে গাজিপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই শিব কুমারকে অবশ্য এই ম্যাচে পিচের কাজে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে বেসরকারি ভাবে। সেই ঘটনার পরে এটিই এখানকার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তবে কানপুরে হয়তো এটাই শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে চলেছে। কারণ, এর পর থেকে লখনউয়ের নবনির্মিত স্টেডিয়ামে সব আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করার কথা ভাবছে উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা। ওই স্টেডিয়াম কয়েক মাসের মধ্যেই একশো শতাংশ তৈরি হয়ে যাবে বলে সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন। তার পরে আর কানপুরে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা কম। ভারতীয় শিবিরে অবশ্য এইসব ঘটনার কোনও প্রভাব পড়েনি। শুক্রবার কানপুরে থাকলেও সারা দিন ভরপুর ছুটি কাটালেন তাঁরা। কেউ বিলিয়ার্ডস, পুল খেলে। কেউ বোলিংয়ে মেতে। আবার কেউ হোটেলের ঘরে বিশ্রাম নিয়েই কাটান। তবে অনেককেই জিমে দেখা গিয়েছে গা ঘামাতে। বিরাট কোহালি, এমএস ধোনি, কুলদীপ যাদবদের দেখা যায় বিলিয়ার্ডস টেবলে। এরপরে বিরাট, হার্দিক পাণ্ড্য, মণীশ পাণ্ডে, যুজবেন্দ্র চহালদের জিমেও দেখা যায়। রবিবার ম্যাচ। তার আগে শনিবার ফের মাঠে ফেরার কথা তাঁদের। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দু’টিতে একটি করে ম্যাচ দুই দল জেতার পরে রবিবার সিরিজের ফয়সালা হবে কানপুরে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসও পরিষ্কার। তাই বৃষ্টিতে ম্যাচ পণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই অনুমান করা হচ্ছে। ম্যাচের সব টিকিট শেষ বলেও এ দিন কানপুরে ফোন করে জানা গেল। ভারতের জয় দেখতে যত আগ্রহ, তার চেয়েও বেশি আগ্রহ স্থানীয় তারকা কুলদীপ যাদবকে দেখার জন্য। পুণেয় কুলদীপ অবশ্য খেলেননি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×